জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা এবং লস্কর-ই-তৈবা রামমন্দিরে হামলার ষড়যন্ত্র করছে...
রামমন্দির (ফাইল চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমাস বাদেই জানুয়ারিতে রয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা। ঠিক এমন সময় গোপন সূত্রে খবর, রামমন্দিরে হামলা চালানোর ছক করছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা এবং লস্কর-ই-তৈবা হামলার ষড়যন্ত্র করছে।
নাশকতার ষড়যন্ত্রের খবর সামনে আসতেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রামমন্দিরকে (Ram Mandir)। এমনিতেই রামমন্দিরকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা সত্ত্বেও সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এটাই নতুন নয় রামমন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ছক কষেছিল আইএসআইএস জঙ্গি মহম্মদ শাহানওয়াজ সহ তিনজন। গত অক্টোবর মাসেই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে বসে এই ষড়যন্ত্র কষা হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের মত।
রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পাশাপাশি কেরলের শবরীমালা মন্দির এবং দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরও ছিল জঙ্গিদের নিশানায়। অন্তত ধৃত সন্ত্রাসবাদীদের জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন বিজেপি ও আরএসএস নেতাকে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা। রামমন্দিরের নাশকতার ব্লু প্রিন্ট প্রথম তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতেই। এর মাস্টারমাইন্ড ছিল জঙ্গি ফারহাতুল্লা। সেখানেই শাহনওয়াজ সমেত তিনজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বাসিন্দা ফারাতুল্লাহ পাকিস্তানের পালিয়ে জঙ্গির প্রশিক্ষণ নেয় এবং কাশ্মীরের একাধিক যুবককেও সে ট্রেনিং দেয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে আইএসআই-এর মডিউলে সদস্য ছিল শাহনওয়াজ। গত অক্টোবরে তল্লাশির সময় গোয়েন্দারা জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে বেশ কয়েকটি বই, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ সমেত ধৃত তিনজনই বিটেক ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লিতে একটি সংস্থা চাকরি করত শাহনওয়াজ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।