Delhi: পাকিস্তানে চলে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল ধৃত জঙ্গি নওশাদ ও জগজিৎ...
ধৃত জঙ্গি নওশাদ আলি ও জগজিৎ সিং
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে সন্ত্রাসী ধরা পড়ার ঘটনায় এল নয়া মোড়। জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে দিল্লি পুলিশের কাছে। ধৃত ওই দুই জঙ্গি নওশাদ আলি ও জগজিৎ সিংকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল ও সেখানকার জঙ্গিদের সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগও ছিল তাদের। এদিন তারা দিল্লি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তারা দুবার নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা দু'বারই ব্যর্থ হয়। এছাড়াও নওশাদ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড় কিছু করাjই পরিকল্পনা ছিল তাদের। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ ও জগজিৎকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নওশাদ ও জগজিৎ হরকাত-উল আনসার সংগঠন এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দেখা করেছিল। এই দুই সংগঠনকে ভারত থেকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনোনীত করা হয়েছে। এমনকী পাকিস্তানি সন্ত্রাসী তথা লস্কর জঙ্গি আসফাক ওরফে আরিফের সঙ্গেও নওশাদের যোগাযোগ ছিল। এই আসফাক ও সুহেল নামক জঙ্গির থেকেই নির্দেশ পেত নওশাদ। সূত্রের খবর, “আরিফই নওশাদকে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সুহেলের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিল। সুহেলও সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সদস্য, বর্তমানে সে পাকিস্তান থেকে কাজ করছে।” সূত্রের খবর, সুহেল পাঞ্জাবের কিছু বড় নেতাকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিল।
নওশাদ তদন্তের সময় প্রকাশ করেছে যে, সে যখন জেলে ছিল, তখনই নাদিমের সঙ্গে দেখা করেছিল, সে সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল-আনসারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সূত্রের খবর, “জেল থেকে প্যারোলে বেরিয়ে আসার পর, জিহাদের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য নাদিম নওশাদকে হরকাত-উল-আনসার সংগঠনে যুক্ত করেছিল।”
আরও পড়ুন: মায়াপুরে ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে নদিয়ায় সভা! বাংলায় প্রচারে জেপি নাড্ডা
নওশাদ আরও জানিয়েছে, হত্যার দায়ে সে ২৫ বছর জেলে বন্দি ছিল ও ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ও তার পরেই নাদিমের সঙ্গে কাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দুবারই তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। যে নেপালি কর্মকর্তার মাধ্যমে সে তার নেপালি পাসপোর্ট তৈরি করছিল তাকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। নওশাদ প্রায় ২৭ বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিল এবং সেই সময়ে সে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনের জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করত, তারপরে সে তাদের হয়ে কাজ শুরু করে।
এর আগে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, দুই ধৃত সন্ত্রাসী কমপক্ষে চারজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল যাদের পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল আনসার এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই তথ্যগুলি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের কয়েকদিন পাওয়া গিয়েছে, ফলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই দুজন সুনীল রাঠি, নীরজ বাওয়ানা, ইরফান চেনু, হাশিম বাবা, ইবাল হাসান এবং ইমরান পেহলওয়ানের মত কয়েকজন গ্যাংস্টারেরও সংস্পর্শে ছিল। দিল্লি পুলিশ বলেছিল যে, গ্রেফতার হওয়া দুই সন্ত্রাসীকে "ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের" লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।