Landslide: ওয়েনাড়ে ভূমিধসের কারণ কী?
বিপর্যস্ত ওয়েনাড় (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই কি ওয়েনাড়ে (Wayanad) ঘটল এমন বিপর্যয়? এই প্রশ্নই তুলছে কোনও কোনও মহল। তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত পর্যটনের কারণেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে যার ফলেই ঘটেছে এমন বিপর্যয়। দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রাকৃতিক শোভার কারণে পর্যটন শিল্পের জন্য এক উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ওয়েনাড়ে (Wayanad) গত বছরে ১০ লাখেরও বেশি দেশী ও বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন বলে জানা যায়। ভূমিধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড়ের মুন্ডাকাইত এলাকা। জানা গিয়েছে, এই অঞ্চলে ৫০০ পরিবার বাস করতেন। পর্যটন শিল্পের জন্য, এর আশেপাশের গ্রামগুলিতে ৭০০ রিসর্ট, হোমস্টে প্রভৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানে রয়েছে পাহাড়ের কোলে বিস্তৃত চা বাগান।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিগত ১৩ বছর ধরে বেশ কয়েকটি সরকারি রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছিল যে পর্যটন শিল্পের জোয়ার আনতে গিয়ে প্রাকৃতিক জলের প্রবাহকে বাধা দেওয়ার ফলে ভূমিধস (Landslide) ও বন্যার মতো বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিন্তু তারপরেও এই সমস্ত সর্তকতাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল। ভারতের অন্যতম প্রযুক্তি কেন্দ্র বলে পরিচিত বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েনাড় সড়ক পথে মাত্র ৬ ঘণ্টা দূরত্ব। বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মীরা সপ্তাহের শেষে ওয়েনাড়ে আসেন ছুটি কাটাতে। বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ তুলছেন যে অতিরিক্ত উন্নয়নের কারণে বেশ কিছু জায়গায় বনভূমিকেও ধ্বংস করা হয়েছে। সাধারণভাবে বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে এবং বন্যা প্রতিরোধ করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়াতে প্রাকৃতিক যে জলপ্রবাহ তা শোষণ হয়নি।
বিগত কয়েক দিনের ভূমিধসে ওয়েনাড় যেন মৃত্যুপুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়েনাড় অঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় রিসর্ট ছিল স্টোন হাউজ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভোরে পরপর দুটি ভূমিধসে (Landslide) এই বিল্ডিংটি একেবারে ভেসে গিয়েছে। আগেই অবশ্য পর্যটক ও কর্মচারীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজন থেকে বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই এখন খুঁজছেন ওয়েনাড়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ এবং সেখানেই প্রশ্ন উঠছে যে অতিরিক্ত পর্যটনের জোর দেওয়ায় জন্যই এমন অবস্থা। প্রসঙ্গত, এর আগেই ২০১৮ সালে বন্যার কারণে কেরলে ৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন, তারপরে ওয়েনাড়ে ঘটল বিধ্বংসী ভূমিধস (Landslide)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।