৯ দিন পর গরম খিচুড়ি ও ডালিয়া খেলেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা...
উত্তরাখণ্ডে চলছে উদ্ধারকাজ (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই প্রথম গরম খাবার দেওয়া হল উত্তরাখণ্ডের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarakhand Tunnel Collapse)। এদিন ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত একটি পাইপ ওই ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ঢোকাতে সক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। জানা গিয়েছে, ওই পাইপ দিয়েই বোতলে করে গরম খিচুড়ি এবং ডালিয়া পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা এক শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকের মতে, ‘‘আমরা চওড়া মুখের প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে এসেছি। ওই বোতলগুলি করে আমরা শ্রমিকদের কাছে কলা, আপেল, খিচুড়ি এবং ডালিয়া পাঠাচ্ছি।’’ অন্যদিকে, নতুন ৬ ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপটি যেভাবে শ্রমিকদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে, এর ফলে খুশি দেখা গিয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক। শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ওয়াকিটকি আগেই পাঠানো হয়েছে। ডিআরডিও-র দুটি রোবোটিক্স মেশিনও ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরেকটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে
গত ১২ নভেম্বর থেকে উত্তরাখণ্ডের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে আটকে পড়ে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক (Uttarakhand Tunnel Collapse)। ইতিমধ্যে ন'দিন কেটে গিয়েছে, তবু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি শ্রমিকদের। প্রশাসনের তরফে অবশ্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গেই চালানো হচ্ছে উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, বর্তমানে টানেলের মধ্যে একটি সুবিশাল পাইপকে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। মাটি কেটে সেটি ভিতরে ঢুকবে বলেই জানা যাচ্ছে। পাইপটির ব্যাস খুবই বড়। এর ফলে উদ্ধারকাজ সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছে প্রশাসন (Uttarakhand Tunnel Collapse)। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। আটকে পড়া সুড়ঙ্গের পাশেই সমান্তরালভাবে আরেকটি সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজও চলছে। এর জন্য ইন্দোর থেকে আনা হয়েছে ড্রিল মেশিন। শ্রমিকদের কাছে যথারীতি সরবরাহ করা হচ্ছে শুকনো খাবার, অক্সিজেন ফল ইত্যাদি।
উদ্বেগে পরিজনরা
এদিকে, দুর্ঘটনার ন’দিন পরেও সুড়ঙ্গে আটকে (Uttarakhand Tunnel Collapse) পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগে তাঁদের পরিজনরা। উদ্ধারকাজ কেমন চলছে, তা দেখতে সুড়ঙ্গের কাছে ঘাঁটি গেড়েছেন তাঁরা। তাঁদের রাত্রিবাসের জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ব্যবস্থা করা হয়েছে খাবারেরও। গত রবিবার দুপুরে উত্তরকাশীতে জাতীয় সড়কের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে ধস নামে। সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন এনডিআরএফ, আইটিবিপি এবং স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।