img

Follow us on

Friday, Jan 17, 2025

Gyanvapi: জ্ঞানবাপীর সমীক্ষায় তৃতীয় দিনে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের দল, কী খোঁজ মিলল?

জ্ঞানবাপীর সমীক্ষা রবিবারও, সকাল ৮টা থেকে শুরু হল কাজ

img

জ্ঞানবাপী কাঠামো (সংগৃহীত ছবি)

  2023-08-06 18:26:09

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপীতে (Gyanvapi) ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষা লাগাতার চলছে। রবিবারও সমীক্ষায় চালায় এএসআই। এই সমীক্ষায় মুসলিম পক্ষের পাঁচ জন সদস্যও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দু নিদর্শনের হদিশ মেলায়,  কোর্টের আদেশে এই সমীক্ষা চলছে।  মসজিদের ভিতরে এই সমীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কমিটি। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সমীক্ষা চলে রবিবারও।

শনিবারের সমীক্ষা

শনিবার সারাদিন জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi) অন্দরমহল ঘুরে দেখেন এএসআইয়ের কর্তারা। শনিবার তাঁদের পরিদর্শনকেন্দ্র ছিল মসজিদের সেন্ট্রাল হল। জানা গিয়েছে এখানেই নমাজ পড়া হয়। এছাড়া মসজিদ ভবনের অন্যান্য অংশও পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমীক্ষা শেষ হয়ে যায়। রবিবারও সকাল থেকে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ।

কী বলছেন দুপক্ষের আইনজীবী 

মুসলিম পক্ষের আইনজীবী তৌহিদ খান বলেন, ‘‘মসজিদ কমিটির দুজন আইনজীবীও এসআইএ-এর সমীক্ষক দলের সঙ্গে ছিলেন। হিন্দুপক্ষের এক আইনজীবী বলেন, ‘‘জ্ঞানবাপীতে (Gyanvapi) এখনও পর্যন্ত হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া যায়নি এটা ঠিক, তবে মূর্তির ধ্বংসাবশেষের ছোটখাটো অনেক টুকরো মিলেছে। এবং শীঘ্রই মূর্তিও পাওয়া যেতে পারে।  প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে সপ্তদশ শতকে জ্ঞানবাপী মসজিদটি,  হিন্দুমন্দির ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি করা হয়। এবং তা জানার জন্যই এএসআইয়ের এই সমীক্ষা। 

মামলার ঘটনাক্রম

২০২১ সালে জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মসজিদ কমিটি, ৫ হিন্দু মহিলার পূজা-অর্চনার আর্জি খারিজ করার জন্য বারাণসীর জেলা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। মুসলিম পক্ষের দাবি ছিল, এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না।  এক্ষেত্রে সামনে আনা হয় ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন। অন্যদিকে হিন্দুপক্ষের আইনজীবীরা বলতে থাকেন ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। হিন্দু আইনজীবীরা আরও বলতে থাকেন ১৯৪৭ সালের পরেও শৃঙ্গার-গৌরীর পূজা অর্চনার প্রমাণ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে ৫ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর অজুখানা এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিম দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে এবং পূজা অর্চনার অনুমতি চায়। মামলা দায়ের করা হয় বারাণসীর নিম্ন আদালতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদের অন্দরের ভিডিও করার নির্দেশ দেয় আদালত।  এরপরে হিন্দুপক্ষের তরফে প্রাপ্ত নমুনা গুলির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়। ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত।  ভিডিওগ্রাফি সময় ওজুখানায় শিবলিঙ্গের আকৃতির কাঠামোর খোঁজ মেলে। এটির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। কারণ পাথরের মূর্তিতে কার্বন ডেটিং কতটা কাজ করবে তা নিয়ে সন্দিহান থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Supreme court

bangla news

Bengali news

ASI

Varanasi

survey for gyanvapi


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর