এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাকারম্যান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি।
ফিলিপ অ্যাকারম্যান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মান রাষ্ট্রদূত (German ambassador) ফিলিপ অ্যাকারম্যান (Philipp Ackermann) মঙ্গলবার বলেন, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) উপর চিনের (China) দাবি ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং চিনের ভারতের উত্তর সীমান্ত লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাকারম্যান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয় ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে অ্যাকারম্যান বলেন, "রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) ইস্যুতে ভারত এবং ইউরোপ সবসময় একমত না হলেও, এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।"
আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের 'জিরো কোভিড নীতি', ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ
তিনি আরও বলেন, "আমরা ভারতের উত্তরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওয়াকি বহাল। চিন দাবি করছে অরুণাচল প্রদেশ চিনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এটা ঔদ্ধত্য। আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং এসব মেনে নেওয়া যায় না।"
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে, ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন অ্যাকারম্যান।
তিনি বলেন, "রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যেই ব্যবহার করছে, সেই একই রকম ব্যবহার চিন ভারতের সঙ্গে করছে। এটা আশা করি ভারতও স্বীকার করবে।"
আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?
তিনি আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফরেও সময়ও আমরা বলেছিলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নিজেদের মতামত রেখেছে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি ভারত আন্তর্জাতিক আইন এবং তার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। তবে সব ক্ষেত্রে আমরা এক মত হতে পারি না একথাও সত্যি।"
তিনি বলেন, "একে অপরের সীমান্ত রেখাকে সম্মান করবে সেটাই আন্তর্জাতিক আইনের দস্তুর।"
অ্যাকারম্যান তাইওয়ানের পরিস্থিতিসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি জার্মানির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়েও এদিন কথা বলেন। মোদির দুবারে জার্মানি সফরে ভারত-জার্মান সম্পর্কের যে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এদিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।