প্রতিবেশী বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যের দুটি আসনেই জয়ী বিজেপি
প্রতীকী চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিপুরার দুটি আসন থেকেই জয়ী হল (Tripura BJP Win) বিজেপি। বিপ্লব কুমার দেব পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ৬১১,৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া ব্লকের কংগ্রেস প্রার্থী আশিস কুমার সাহার বিরুদ্ধে। তিনি ২,৬৯,৭৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে ত্রিপুরা পূর্ব (Tripura East)থেকে জয়ী হয়েছেন কীর্তি দেবী দেব্বর্মণ ৪,৮৬,৮১৯ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াংকে হারিয়ে দিয়েছেন।
দিল্লিতে ১৬ বছর কাটিয়ে, বিপ্লব দেব ২০১৫ সালে বিজেপির জনসংযোগ অভিযানের ইনচার্জ হিসাবে ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। এক বছর পরে, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন, এবং ২০১৮ সালে, তাঁর দল একটি আঞ্চলিক আদিবাসী রাজনৈতিক দল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) এর সাথ জোট করে প্রথমবারের মতো রাজ্যে (Tripura BJP Win) ক্ষমতায় আসে। পরে ২০২২ সালে সমালোচনার মুখে দেব মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পরে ত্রিপুরা থেকে একমাত্র রাজ্যসভা সাংসদ নির্বাচিত হন।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ত্রিপুরার দু’টি আসনেই সিপিএম ছিল তৃতীয় স্থানে। তার পাঁচ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৪ সালে দুই আসনেই সিপিএমের ভোট ছিল ৬০ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালে সেটাই নেমে আসে ১৫ এবং ১৯ শতাংশে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মধ্যে কমবেশি সময়ে ৪৫ শতাংশ ভোট হ্রাস পায়। ২০১৯ সালে দুই আসনেই কংগ্রেস ছিল দ্বিতীয়। তাদের ভোট ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। ৬ শতাংশ থেকে বিজেপির ভোট ২০১৯ সালে পৌঁছেছিল পূর্ব ত্রিপুরায় ৪৬ শতাংশে এবং পশ্চিম কেন্দ্রে ৫১ শতাংশে। এ বার বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোট দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। বিজেপি পেয়েছে ৭১ শতাংশ ভোট।
অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশের দুটি আসনেই ফুটেছে পদ্ম। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন কিরেন রিজিজু এবং তাপির গাও। উল্লেখ্য, অরুণাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছিল। দুদিন আগে ভোট গণনার ফলাফলে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তৃতীয়বারের মতো রাজ্যে ক্ষমতাসীন।
আরও পড়ুন : অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরছে তেলুগু দেশম, চন্দ্রবাবুকে অভিনন্দন মোদি-শাহের
৬০ আসনের বিধানসভায় বিজেপি ৪৬ আসনে বিজয় হাসিল করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে রাজনৈতিক মহল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, লোকসভা নির্বাচনেও মোট দুটি আসনেও জিতবে বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।