NDRF: টানা বৃষ্টিতে ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, বিপর্যস্ত ১৭ লক্ষ মানুষ...
ত্রিপুরার প্লাবিত এলাকার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ত্রিপুরার (Tripura Flood) একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু এলাকা প্লাবিত। লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত চার দিনে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের। বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমে একই সঙ্গে দুই পরিবারের সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। সরকারের উদ্যোগে কয়েকশো ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আর বৃষ্টি না থামার কারণে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন রাজ্যবাসী।
গত চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে ত্রিপুরায় (Tripura Flood)। এর ফলে একাধিক নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা এবং উনকোটির মতো রাজ্যের ছ'টি জেলায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যার কারণে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুল, কলেজ। একাধিক জেলায় টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এরমধ্যে সব থেকে আতঙ্কের বিষয় হল, বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। আটটি জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। ২২ অগাস্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরার বগাফায় ৪৯৩.৬ মিমি, সেপাহিজলার সোনামুরায় ২৯৩.৪ মিমি, আগরতলায় ২৩৩ মিমি এবং গোমাইপুরে ১৫৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। অধিকাংশ চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভারী, অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যায় ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। তাঁদের ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ২০৩২টি স্থানে ধসের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে এনডিআরএফ (NDRF) কর্মীদের উদ্যোগে ১৭৮৯টি ধস কবলিত এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। সবমিলিয়ে ত্রিপুরায় বন্যার কারণে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট
বন্যা কবলিত (Tripura Flood) এলাকার মানুষদের খাবার, ত্রাণসামগ্রী পৌঁচ্ছে দেওয়ার জন্য সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের নানা প্রান্তে সাড়ে চারশোর বেশি ত্রাণশিবির গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ত্রিপুরায়। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় খাবার এবং অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে বায়ুসেনা। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চিহ্নিত করে সেনার কপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আগরতলায় পৌঁছেছে আরও বাহিনী। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ত্রিপুরার গোমতী জেলা। এ ছাড়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনকোটিতেও ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।