দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসে পাঠানো হল সীমা হায়দারের পরিচয় পত্র
সীমা হায়দার ও সচিন (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেমিক সচিনের টানে ভারতে আসা পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের (Seema Haider) আধার কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগ উঠল। নথি বদলানো হয়েছে প্রেমিক সচিন মিনারও। এই ঘটনায় যোগী পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দুই যুবক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই যুবক বুলন্দশহরের আহমদগড়ের একটি জনসেবা কেন্দ্রে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস (অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড)। পুলিশ সূত্রে খবর দুই অভিযুক্তের নাম পুষ্পেন্দ্র মিনা এবং পবন মিনা। এঁরা দুজনে দাদা-ভাই। পাশাপাশি পাবজি প্রেমিক সচিনেরও তুতো ভাই বলে পরিচিত তারা। কেন এই দুই অভিযুক্ত সীমা-সচিনের নথি পরিবর্তন করেছেন? তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এর পিছনে অন্য কোনও চক্র কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসে পাঠানো হল সীমা হায়দারের (Seema Haider) পরিচয় পত্র। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর সীমা হায়দারকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক সামনে এসেছে। সে কি শুধুই ভালবাসার টানে এখানে এসেছে নাকি অন্য কোনও উদ্দেশে, তারই রহস্য উন্মোচন করছেন গোয়েন্দারা। সীমার (Seema Haider) ভাই এবং মামা পাক সেনাবাহিনীতে কর্মরত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দার। ভারতীয় প্রান্তিক বধূ সাজতে প্রশিক্ষণও নেন সীমা। আবার তাঁর ঝরঝরে ইংরেজি বলাও গোয়েন্দা রেডারে রয়েছে। সীমা (Seema Haider) কোনও পাক গুপ্তচর কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে গত ৪ জুলাই থেকেই সীমার ওপর কড়া নজর রয়েছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস-এর।
পাবজি খেলতে গিয়ে সচিনের প্রমে পড়েন সীমা (Seema Haider)। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর গ্রেফতার করা হয় সীমাকে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণের দাবি করেন। পাবজি প্রেমিকার কথায়, ‘‘সীমা হিন্দু এবং মুসলমান যে কোনও ধর্মের মেয়েদেরই নাম হয়। তাই আমি এখন থেকে শুধুই সীমা। অথবা, নিজেকে সীমা সচিন বলে পরিচয় দেব। আমার সন্তানদেরও নাম পরিবর্তন করে রাজ, প্রিয়ঙ্কা, পরি এবং মুন্নি রেখেছি।’’ জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ভারতে থাকার আর্জি জানিয়েছেন সীমা। তাঁর আবেদন, তিনি আর পাকিস্তান ফিরতে চান না। সন্তানদের নিয়ে ভারতেই থেকে যেতে চান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।