উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের প্রমাণ পেতে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' (Two Finger Test) - এ না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চ এই পদ্ধতিটিকে 'অবৈজ্ঞানিক এবং অপমানজনক' বলে আখ্যা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ধর্ষিতার পরীক্ষা হলে তা ‘অশোভন আচরণ’ বলে ধরা হবে। বহুদিন আগেই ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশে। তবে এখনও নিয়মের কোনও তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন জায়গায় করা হয় এই পরীক্ষা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলে, "ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ক্ষেত্রে বারবার দুই আঙুলের পরীক্ষার ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছে এই আদালত। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর ফলে নির্যাতিতারা ফের বিভীষিকার শিকার হন। দুই আঙুলের পরীক্ষাটি একটি ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়। আগে মনে করা হত যে, যৌন সম্পর্কে সক্রিয় মহিলাকে ধর্ষণ করা যায় না। কিন্তু এই ধারণার কোনও ভিত্তি নেই।"
আরও পড়ুন: রেলে নিয়োগ, শূন্যপদ ৫৯৬, জানুন বিস্তারিত
সুপ্রিম কোর্ট বলে, "একজন মহিলা যৌন সম্পর্কে কতটা সক্রিয় তার ওপর তাঁর ধর্ষণের সাক্ষ্য নির্ভর করে না। এটা পুরুষতান্ত্রিক এবং যৌনতাবাদীদের প্রস্তাব করা পরীক্ষা। কারণ তারা মনে করত, একজন মহিলা যৌন সক্রিয় হলে তাঁর ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্বাস করা যায় না।" আর সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতাদের ওপর টু ফিঙ্গার টেস্ট না করা হয় তা নিশ্চিত করতে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' নিষিদ্ধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল যে, ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার উপর 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' করা মানে তাঁর গোপনীয়তার অধিকারকে লঙ্ঘন করা। সরকারকে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে অন্য উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেয় আদালত। সেই সময় বিচারপতি বিএস চৌহান এবং বিচারপতি এফএমআই কালিফউল্লার বেঞ্চ বলেছিল, 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' - এর রিপোর্টে ধর্ষণ বিষয়ক কিছুই প্রমাণ হয় না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।