মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০ বছর পুরনো বৃন্দাবনের (Vrindavan) রাম সীতার দোলনা। দোলনায় লাগানো পুরনো কাঠের নকশা ও পালিশের মেরামত প্রয়োজন। জীর্ণ এই দোলনার সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই দোলনা সারানোর (Ram Sita Cradle) জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাহারানপুরে। রাম সীতার দোলনা সারাবেন কাঠমিস্ত্রি আসাদ খান। জরাজীর্ণ এই দোলনা সারানোর পর ভক্তরাও চাক্ষুষ করতে পারবেন এই দোলনা।
পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী আসাদ
কাঠের অসাধারণ কাজের কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন শিল্পী আসাদ খান। তিনি বহু ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও মসজিদের দরজার প্রস্তুতির কাজও করেছেন। আসাদ জানিয়েছেন এই দোলনাটি মেরামত করলে আগামী ৫০০ বছর তা মন্দিরে এভাবেই থেকে যাবে। এই মুহূর্তে দোলনার সমস্ত অংশ খুলে আলাদা করে রাখা হয়েছে। সমস্ত অংশ মেরামত করে যখন দোলনাটি আগের রূপে ফিরিয়ে আনা হবে তখন দেখে সবাই চমকে যাবেন বলে তাঁর দাবি।
পৌরাণিক কাহিনী
জানা যায় হোলির পবিত্র উৎসবে প্রতি বছর সাজানো হয় রাম সীতার এই দোলনা। হোলির উৎসবে যখন গোটা বৃন্দাবন আবিরের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে তখন এই দোলনাটিকেও বিভিন্ন ফুলের দিয়ে সাজিয়ে করা হয় এবং তাতে বসানো হয় রাম সীতার বিগ্রহ। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এখানে হোলি উৎসব পালিত হয়। ভারতের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসেন। মথুরা ও বৃন্দাবনের হোলি দেখার মত হয়। মথুরার হোলির নেপথ্যে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে রাধারানির পিতা বৃষভানু শ্রীকৃষ্ণের পিতা নন্দ মহারাজকে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পুরীর রথযাত্রায় এআই ক্যামেরায় নজরদারি, সেবায়িতদের জন্য স্মার্ট আইডেন্টিটি কার্ড
বরসানার গোপীরা হোলির আমন্ত্রণ নিয়ে নন্দের গ্রামে যান। কৃষ্ণের বাবা নন্দলাল আনন্দে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে নেন। আমন্ত্রণ দিতে আসা সমস্ত মানুষকে লাড্ডু দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়। আর সেই থেকেই এখানকার হোলিকে লাড্ডু হোলিও বলা হয়। পৌরাণিক উপাখ্যান অনুসারে দ্বাপর যুগে হোলি খেলার প্রথা শুরু হয়েছিল। সেই সময় মথুরায় বসবাসকারী কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে রাধার গ্রাম বরসানায় যেতেন এবং গোপীদের সঙ্গে লীলা করতেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours