জানা গেছে মৃত তিন জঙ্গি পাকিস্তান দিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছিল। সোমবার রাতের এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার।
উপত্যকায় টহলদারি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) হামলার ছক বানচাল করল কাশ্মীর পুলিশ। রবিবারের পর সোমবার রাতেও জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ হয় উপত্যকায় ঢোকা লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিদের।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন লস্কর জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর মধ্যে ২ জন পাক জঙ্গি। তৃতীয়জনের নাম আদিল হুসেন মীর। পুলিশ জানিয়েছে, আদতে অনন্তনাগ জেলার পহেলগামের বাসিন্দা হলেও ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস ছিল। সংঘর্ষের সময় একজন স্থানীয় ও এক পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্র-সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে ।
#Pakistan based handlers had sent two #Pakistani #terrorists of LeT #terror outfit along with one local terrorist Adil Hussain Mir of Pahalgam #Anantnag, who has been in #Pakistan since 2018 (now all 3 killed), with the intention to attack #Yatra: IGP Kashmir@JmuKmrPolice
— Kashmir Zone Police (@KashmirPolice) June 13, 2022
">
আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। জানা গেছে মৃত তিন জঙ্গি পাকিস্তান দিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছিল। সোমবার রাতের এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে দুই লস্কর জঙ্গি ভারতে এসেছিল। তাদের নিকেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল পুলিশ। নিহত দুই লস্কর জঙ্গির একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের ফয়জলাবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গির নাম আবদুল্লাহ গাজৌরি। পুলিশের অনুমান, নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গিই ফয়জলাবাদের বাসিন্দা। এর আগেও সোপোর এনকাউন্টারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু তখন কোনও কারণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি একে–৪৭ রাইফেল, ১০টি ম্যাগাজিন, তাজা কার্তুজ, ওয়াই–এসএমএস ডিভাইস–সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।