এদিনই অভিযুক্তদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজমের জেলে স্থানান্তরিত করা হয়। তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উদয়পুরের রাস্তায় বিক্ষুব্ধ জনগণ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে (Udaipur Murder) অভিযুক্তদের হয়ে দাঁড়াতে রাজি নয় কোনও আইনজীবী। দ্রুত তাদের ফাঁসির দাবি তোলেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৩ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে (14 days of judicial custody) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে নিয়ে আসার সময় তাদের মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গাড়িটি আদালত চত্বরে প্রবেশ করার পরই সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায় বহু আইনজীবীকে। তাঁরা অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। উদয়পুর বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গিরিজা শঙ্কর মেহতা (Girija Shankar Mehta) জানান, "এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। এটা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। অভিযুক্তরা সমাজে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছে। এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও হুমকি দিয়েছে। যা মানা যায় না।" এদিনই অভিযুক্তদের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজমের জেলে স্থানান্তরিত করা হয়।
রাজস্থানে (Rajashtan) উদয়পুরে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত দেশ। কেবল দেশ নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার রেশ। এবার এই ঘটনায় মুখ খুলছে রাষ্ট্রসংঘ। সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বিভিন্ন সম্প্রদায় যেন সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তাঁর হয়ে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক একথা জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ”আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। সারা পৃথিবী জুড়ে সব ধর্মের প্রতি পূর্ণ সম্মান বজায় রাখতে হবে। তাহলেই বিভিন্ন সম্প্রদায় সম্প্রীতি ও শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।”
আরও পড়ুন: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ উদয়পুরের ধানমণ্ডি এলাকার এক দরজির দোকানে ঢোকে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ রিয়াজ আখতার ও মহম্মদ গাউস। তারা শুরুতে নিহত দরজির কাছে জামার মাপ দেয়। এরপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় ও গলায় আঘাত করে। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডও করে হত্যাকারীরা। এরপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। এনিয়ে অশান্তি না ছড়ালেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলি হত্যার প্রতিবাদে মিছিল করছে। উদয়পুরে মিছিল বার করে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’। সেখান পাথরবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
এদিকে কানহাইয়া লালের মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য একটি তহবিল গঠন করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ওই তহবিলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ হাজারের বেশি মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন। এখনও অবধি মোট অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ। সময় মতো ওই টাকা কানহাইয়া লালের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।