দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলবে ডিসেম্বরে...
রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।
আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের
মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।
শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।