সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের তিনজনও...
উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে ধসের (Uttarkashi Tunnel Collapse) পর কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। এখনও উদ্ধার করা যায়নি সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিককে। বাইরে থেকে অক্সিজেন এবং খাবার সরবরাহ করা হলেও, ক্রমেই মনে-প্রাণে ধ্বস্ত হয়ে পড়ছেন আটকে থাকা শ্রমিকরা। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের তিনজনও।
উদ্ধারকার্য খতিয়ে দেখতে পিএমও-র একটি দল গিয়েছে উত্তরকাশীতে। জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দল শুক্রবার পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সুড়ঙ্গের ২৪ মিটার অবধি যেতে পেরেছে। যদিও সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে যেতে হবে ৬০ মিটার। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পাঁচ নম্বর পাইপটি ঢোকানো হচ্ছে সুড়ঙ্গ পথে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার এবং জল সরবরাহ করা হচ্ছে। চলছে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংও। তাঁরা সাইকোলজিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথাও বলছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarkashi Tunnel Collapse) উদ্ধার করতে এতদিন যেসব মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেগুলির পাশাপাশি নতুন মেশিন আনা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন যে মেশিন কাজ করছে, সেটি ডিজেল চালিত মেশিন। মেশিনটি এনক্লোজড এলাকায় কাজ করছে। তাই ভেন্টিলেশনের জন্য কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হচ্ছে মেশিনটি। মেশিনটি চলাকালীন ব্যাপক কম্পনও হচ্ছে। সমস্যা মেটাতে ইন্দোর থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে অগার মেশিন। উদ্ধারকার্যে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।
আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি মমতা সরকার! অভিযোগ শুনতে কল-সেন্টার চালু করছে বিজেপি?
উদ্ধারকার্য ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন সংস্থার ৬৫ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন এবং ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ। উদ্ধারকার্যে শামিল হয়েছেন থাইল্যান্ড ও নরওয়ের উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরাও। ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাকস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ জানান, জায়েন্ট ড্রিল মেশিনের সাহায্যে সুড়ঙ্গে ৮০০-৯০০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। এভাবেই তৈরি করা হবে জায়গা। তার পরেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarkashi Tunnel Collapse)। এদিকে, আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে পুজো-আচ্চা শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গের মুখে। প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে জাতীয় সড়কের ওপর সুড়ঙ্গ তৈরি করতে গিয়ে ধস নামে। আটকে পড়েন শ্রমিকরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।