ভারত ও আমেরিকা উভয় দেশেই গণতন্ত্র এবং ব্যক্তিস্বার্থ একসঙ্গে রক্ষিত হয় বলে জানান সামান্থা।
সামান্থা পাওয়ার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ। অর্থ, যশ , সম্পদ নয় প্রতিটি ভারতবাসীর মূল্যবোধ এবং চেতনা দেশটিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছে। অভিমত ইউসেডে-এর (United States Agency for International Development) কর্তা সামান্থা পাওয়ারের (Samantha Power)। দিল্লি আইআইটিতে (Delhi IIT) 'বিশ্ব এক পরিবার' শীর্ষক এক আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর
সামান্থার কথায়, অন্যায়ের সঙ্গে আপোশ করে না ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে পরিবেশ রক্ষা, সন্ত্রাস দমন, সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে চায়। ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় আমেরিকা। ভারত ও আমেরিকা উভয় দেশেই গণতন্ত্র এবং ব্যক্তিস্বার্থ একসঙ্গে রক্ষিত হয় বলে জানান সামান্থা। তাঁর মতে, বহুত্ববাদের মধ্যে সারা দেশকে কীভাবে একসূত্রে বেঁধে রাখা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস রয়েছে। পরস্পরের উপর বিশ্বাস থাকলে বন্ধুত্বে চিড় ধরে না। বছরের পর বছর ধরে আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বর্তমান। আর আমেরিকা সকলের জন্য উন্মুক্ত, গোটা বিশ্বকে একটাই পরিবার বলে মনে করে ভারত ও আমেরিকা। তাই দুই দেশের মধ্যে এত মিল রয়েছে বলে জানান সামান্থা।
আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে
ভারতের বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) জয়শঙ্করও (S Jaishankar) জানান সাম্প্রতিক কালে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের মধ্যে সামরিক এবং আর্থিক সহযোগিতা অনেক দৃঢ় হয়েছে। চিনের মোকাবিলায়, আমেরিকা ভারতকে সাহায্য করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহ সেই সহযোগিতার আবহ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কি না জানতে চাওয়া হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি মনে করি না, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্কে চিড় ধরবে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভারত তার মূল্যবোধ এবং স্বার্থের ভিত্তিতে অবস্থান নিয়েছে এবং নেবে।’’