Andhra Pradesh: সমস্ত মন্দিরের দায়িত্বভার হিন্দু সমাজকে হস্তান্তর করার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারে সামনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদে চার দফা দাবি পেশ করল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিরুপতি বালাজি সমেত অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) সমস্ত মন্দিরের দায়িত্বভার হিন্দু সমাজকে হস্তান্তর করার দাবি জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। চন্দ্রবাবু নাইডু সরকারের কাছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় নেতা সুরেন্দ্র জৈন দাবি জানিয়েছেন, তথাকথিত মেকি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অ-হিন্দুদের কোনও অধিকার নেই দেবস্থানকে দখল করে রাখার এবং তা পরিচালনা করার। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানিয়েছে, হয় মন্দিরগুলিকে সরকারি দখলমুক্ত করা হোক অথবা প্রতিবাদ আন্দোলনের মোকাবিলা করার জন্য সরকার তৈরি থাকুক।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সারা বিশ্বের হিন্দুরা প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ যে ধরনের খবর সম্প্রতি সামনে এসেছে তিরুপতি বালাজি মন্দিরকে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদ ইস্যুতে জোর বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, দেবতার উদ্দেশে অর্পণ করা লাড্ডু প্রসাদে মিশ্রিত করা হয়েছে পশুর চর্বি। এই ঘটনাকে উল্লেখ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, ভক্তদের ভাবাবেগ ও বিশ্বাসকে রক্ষা করা উচিত সরকারের। এর পাশাপাশি সুরেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, অজস্র মন্দির রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh), যেগুলি জেহাদীদের দ্বারা আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, হিন্দু উৎসবগুলিকেও নিশানা করছে জেহাদীরা। কিন্তু সেই সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা।
এদিন সত্যেন্দ্র জৈন (VHP) আরও জানিয়েছেন, পবিত্র হিন্দু মন্দিরগুলির ওপর ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের হস্তক্ষেপ শুধুমাত্র অসাংবিধানিক নয় বরং তা হিন্দু ভাবাবেগেও আঘাত করছে। একথা বলতে গিয়ে সংবিধানের বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে তিনি জানান, ভারতীয় সংবিধানে যে মৌলিক অধিকার প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্যে ১২ নম্বর ধারা, ২৫ নম্বর ধারা ও ২৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী হল ধর্মস্থানের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ।
এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারের সামনে চার দফা দাবিও পেশ করা হয়। এগুলি হল,
১. তিরুপতি বালাজি সহ রাজ্যের সমস্ত হিন্দু মন্দিরকে সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে এবং তা হিন্দু সাধুসন্ত ও ভক্তদের হাতে দিতে হবে।
২. অ-হিন্দু এবং ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে রাখা যাবে না।
৩. মন্দির চত্বরে কোনও অ-হিন্দু খাবার, প্রসাদ বা অন্যান্য পানীয় বিক্রি করতে পারবেন না।
৪. যে সমস্ত জেহাদী হিন্দু মন্দির ও উৎসবগুলিতে আক্রমণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।