লাগবে না সিম, প্রয়োজন নেই ইন্টারনেট সংযোগের, তাও মোবাইলে দেখা যাবে ভিডিও! কীভাবে?
প্রতীকী চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে দেখা যাবে ভিডিও (D2M Video)! এমনকী, লাগবে না সিম-ও! অবিশ্বাস্য মনে হলেও খুব তাড়াতাড়ি এই আধুনিক প্রযুক্তিকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই ব্যবস্থা সফল হলে ভারতে প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন, দেশে তৈরি এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ডিরেক্ট টু মোবাইল (বা সংক্ষেপে ডিটুএম)। দেশের ১৯টি শহরে এই প্রযুক্তির (D2M Video) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এই শহরগুলির বাড়িতে বাড়িতে এবার ডিটুএম প্রযুক্তির পরীক্ষা মূলক প্রযুক্তির ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সচিবের মতে, এর ফলে দেশে ডিজিটাল বিবর্তন হবে। এটা হলে ৫-জি নেটওয়ার্কের থেকে বোঝা কমবে। ইতিমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে নয়ডা, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে।
৮০ কোটি দেশবাসীর হাতে স্মার্টফোন
ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ভিডিও (D2M Video) দেখা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, দেশে মোট ৮০ কোটির বেশি মানুষ এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে ব্যবহার করা সামগ্রীর মধ্যে ৬৯ শতাংশ ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে বা ব্যবহার করে থাকেন। ফলত, বেশি পরিমাণে ভিডিও ব্যবহার করার ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যাম হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিষয় দেখতে বাধার মধ্যে পড়তে হয়।
কীভাবে কাজ করবে ডিটুএম?
ডিটুএম প্রযুক্তির পরিষেবায় ভিডিও ট্রাফিকের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চলে আসবে ডিটুএমে (D2M Video)। দেশে ৮ থেকে ৯ কোটি পরিবার রয়েছে যাঁদের ঘরে টিভি নেই। সেখানে এই ডিটুএম প্রযুক্তি টিভি দেখার বিশেষ সুযোগ করে দেবে। তাদের কাছেও মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিয়ো কনটেন্ট পৌঁছে যাবে। এর জন্য কোনও ইন্টারনেট সংযোগের দরকার হবে না। ফলে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটবে। সচিব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এই উন্নত প্রযুক্তির জন্য ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রাম সংরক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী জায়গা তৈরি করা হয়েছে। গত বছর এই প্রযুক্তির পরীক্ষা বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লি এবং নয়ডাতে শুরু করা হয়েছে।”
ডিটুএম সম্প্রচার প্রযুক্তি কী?
ডিটুএম (D2M Video) সম্প্রচার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে সাংখ্য ল্যাবস এবং আইআইটি কানপুর। এই দুই সংস্থাই এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। স্থলভাগে যে টেলিকমিউনিকেশন পরিকাঠামো রয়েছে, তার উপর নির্ভর করেই চলবে এই ডিটুএম প্রযুক্তি। সবথেকে বড় কথা হল নেটওয়ার্কের উন্নতি হবে। ফোন পেতে আর সমস্যা হবে না গ্রাহকদের। কম হবে খরচের পরিমাণ। একই সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিষেবা দিতে জন্য সমস্ত মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তাদের ফোনে একটি ডিটুএম অ্যান্টেনা দেওয়া হবে যা একেবারে ডিটিএইচ-র মতো সেট টপ বক্স রূপে কাজ করবে। নেটওয়ার্ক দক্ষতা উন্নতি এবং দেশব্যাপী জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থায় বিশেষ কার্যকর হবে। এই প্রযুক্তি ৫-জি থেকেও বেশি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।