অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা...
কয়েক সপ্তাহ বিরতির পর ফের অশান্তির আগুন জ্বলল মণিপুরে। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।
আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?
প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।