ইম্ফলে সাক্ষাৎ মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার...
মণিপুরে চলছে বাহিনীর টহল। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে হলেও, শান্তি ফিরছে মণিপুরে (Manipur)। শান্তি ফেরাতে এ মাসেও মোতায়েন রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী। গড়া হয়েছে বিশেষ শান্তিরক্ষক কমিটি। এই জোড়া পদক্ষেপের জেরে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। যেহেতু রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে, তাই শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকছে ১৫ জুন বেলা ৩টে পর্যন্ত।
সরকারের মুখপাত্র সপম রঞ্জন বলেন, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানে আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কতদিন। জানা গিয়েছে, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম সহ আরও কয়েকটি জেলায় কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ইম্ফলে ভোর ৫টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। এর আগে ছিল সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪ জুনের পর এখনও পর্যন্ত অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি রাজধানীতে (Manipur)। সরকারের ওই মুখপাত্র বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ থেকে প্রমাণ হয় রাজ্যে ক্রমেই ফিরছে শান্তি। ছন্দে ফিরছে গোটা রাজ্য।
এদিকে, ফের অস্ত্র সমর্পণ করতে শুরু করেছেন তরুণরা। ছিনতাই হওয়া অস্ত্র সমর্পণের একটি পোস্টার টাঙানো হয়েছিল এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে। ইংরেজি এবং মেইতেই ভাষায় অস্ত্র সমর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যাঁরা অস্ত্র ফেরাবেন, তাঁদের নামধাম জানানোর প্রয়োজন নেই। রাখা হয়েছিল একটি ড্রপবক্সও। দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ড্রপবক্সে জমা পড়েছে এক (Manipur) জোড়া অটোমেটিক রাইফেল সহ মোট ১৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র। স্থানীয় বিধায়ক সুশীন্দ্র বলেন, ড্রপবক্সের চাবি পুলিশের কাছে রয়েছে। তারা যখন খুশি এসে অস্ত্র নিয়ে যেতে পারে। এর পাশাপাশি চলছে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানও। আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে কেবল শুক্রবারই ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুুন: "টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে," সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি
অন্যদিকে, শনিবার ইম্ফলে (Manipur) গিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পদ্ম-শাসিত রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মণিপুরের হিংসা নিয়েই আলোচনা হয়েছে দুই মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, মাসাধিককাল ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলছিল মণিপুর। হিন্দু মেইতেই ও কুকি উপজাতির (যাদের সিংহভাগই খ্রিস্টান) মধ্যে চলছিল সংঘর্ষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।