রেউড়ি পন্থার প্রবল সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দান-খয়রাতির টোপ দিয়ে ভোট কেনার কৌশল নতুন কিছু নয়। এর সবথেকে জ্বলন্ত উদাহরণ রাজ্যের শাসক দলই রয়েছে। এই খয়রাতি প্রথার বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC Rajiv Kumar)। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারে মতে, ‘‘খয়রাতির যে প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলো দেয়, তার অর্থ কোথা থেকে আসবে সেটা নিয়ে তারা বিন্দুমাত্র ভাবেনা। তারা এনিয়েও চিন্তিত হয় না যে নতুন ভাবে যে ঋণের বোঝা রাজ্যবাসীর উপর চাপবে তা শোধ কীভাবে করা হবে।’’
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই সংস্কৃতির প্রবল বিরোধিতা করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মতে, ‘‘ভোটের আগে কিছু দল বিনামূল্যে সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট কিনতে তৎপর হয় যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।’’ রেউড়ি সংস্কৃতি নিয়ে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার উদাহরণ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানেরও। প্রসঙ্গত, দুই দেশই আর্থিক সংকটে ব্যাপকভাবে ভুগছে।
প্রসঙ্গত, দান খয়রাতি সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করে ভোট কেনার যে কৌশল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেয় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন এক সমাজকর্মী। ট্যাব, টিভি, গয়না এ সমস্ত কিছু দিয়ে কি ভোট কেনা যায়? এই আরজি নিয়ে তিনি দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় গত সপ্তাহের শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশন (CEC Rajiv Kumar) ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিশ জারি করেছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের ভোট ঘণ্টা বাজিয়ে দেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC Rajiv Kumar)। এই প্রসঙ্গেই তাঁকে মন্তব্য করতে শোনা যায় যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজেদের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অধিকার রয়েছে কিন্তু এই সমস্ত ঘোষণার কথা তাদের পাঁচ বছর ধরে কেন মনে পড়ে না? সবকিছুই শুধু শেষ এক মাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই মনে পড়ে কেন? এ প্রশ্নও তুলছেন রাজীব কুমার। শুধু তাই নয় ইতিমধ্যে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের হলফনামায় জানাতেও বলেছে যে দান-খয়রাতির রাজনীতির প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজ্যের ঋণের হার কত দাঁড়াবে তার পরিমাণ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।