মসজিদ চত্বর হিন্দুদেরকে হস্তান্তর করার পাশাপাশি নিয়মিত পুজো করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে ...
জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চান ভিভিএসএস প্রধান। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) চত্বরে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে আবেদন করলেন বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (Vishwa Vedic Sanatan Sangh) প্রধান জিতেন্দ্র সিং বিষেণ। মসজিদ চত্বর হিন্দুদেরকে (Hindu) হস্তান্তর করার পাশাপাশি নিয়মিত পুজো করার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। আবেদনের বাদি করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী কিরণ সিংকে।
বিষেণের দাবি, আদালত বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের (VVSS) আবেদন গ্রহণ করেছে। শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২৫ মে। পাশাপাশি, জ্ঞানবাপীর ৫ প্রধান মামলাকারী মহিলার দাবিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন বিষেণ। জ্ঞানবাপি প্রাঙ্গনে শৃঙ্গার গৌরী, ভগবান গণেশ, ভগবান হনুমান এবং নন্দীর প্রতিদিনের পুজো এবং আচার অনুষ্ঠানের অনুমতি মামলা করেন ৫ মহিলা।
এদিকে, জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) নিত্যপুজোর অনুমতি চেয়ে এদিনই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্ত কুলপতি তিওয়ারি।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) আমলে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির (Kashi Viswanath Temple) ভেঙে গড়ে তোলা হয় মসজিদ। পরে রানি অহল্যাবাই বিশ্বেশ্বরের বর্তমান মন্দিরটি গড়ে তোলেন। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে মন্দির কর্তৃপক্ষকে নন্দীর মূর্তি উপহার দেন নেপালের রাণা। সেই মূর্তি এখনও রয়েছে।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রধান মহন্তের দাবি, শৃঙ্গার গৌরীর মন্দিরে অনাদিকাল থেকেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। প্রাচীরের উত্তর দিকে জ্ঞানবাপী কূপ রয়েছে। এরই পশ্চিমে রয়েছে নন্দী। বহু আগে থেকেই। তাঁর দাবি, মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালের পিছনে তিনটি দোকান ছিল। সেখানে একজন চা বিক্রেতা ও একজন মুসলিম মহিলা থাকতেন। তিনি চুড়ি বিক্রি করতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আক্রমণের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। সেই সময় মন্দিরের মোহন্ত পান্না শিবলিঙ্গ নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেন। যদিও মসজিদ কমিটির দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে ফোয়ারা।
আরও পড়ুন : বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির! সংস্কারের দাবিতে সরব হিন্দুত্ববাদী সংগঠন
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদের এই বিবাদ গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করা হয় মসজিদের ওজুখানার জলাধারে। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে মসজিদে নমাজ পড়তে পারে জেলা প্রশাসনকে সেই ব্যবস্থাও করার নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন :ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র
বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের প্রধান বিষেন মসজিদ চত্বরে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন আদালতে। হিন্দুদের মসজিদ হস্তান্তরের দাবিও জানান তিনি। নিয়মিত পুজো করার অনুমতিও চেয়েছেন বিষেন।