Kiren Rijiju: ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ রিজিজুর, বদল ৪৪ জায়গায়...
লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। এদিন বিলটি লোকসভায় পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীও। বিলটি পরে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে বলেও সূত্রের খবর।
প্রস্তাবিত সংশোধনীটি লোকসভায় পাশের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আইনটির নয়া হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। এই বিলে পুরানো আইনটিতে ৪৪টি সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীর মূল লক্ষ্যই হল, একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করা। প্রস্তাবিত অন্য সংশোধনীগুলির মধ্যে রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড গঠন, যেখানে মুসলিম মহিলা এবং অ-মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
সংশোধনী অনুযায়ী, নতুন করে যে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ পরিষদ গঠিত হবে, তার চেয়ারম্যান হবেন সংখ্যলঘু বিষয়ক মন্ত্রী। পরিষদে দু’জন অমুসলিম সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। রাজ্যগুলিতে যে ওয়াকফ বোর্ড হবে, তা শিয়া ওয়াকফ বোর্ড হলে তাতে সব সদস্যই হবেন শিয়া সম্প্রদায়ের। আর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড গঠিত হলে, তাতে থাকবেন কেবলমাত্র সুন্নি সম্প্রদায়ের লোকজনই।
১৯৫৪ সালে ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Bill) প্রণয়ন করে জওহরলাল নেহরুর সরকার। ১৯৯৫ সালে সংশোধনী এনে সব ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। তার পর থেকেই বোর্ডের একছত্র অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারংবার। ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে নানা সময় দাবি জানিয়েছিলেন গরিব মুসলমান মহিলারা। সাধারণ মুসলমান মহিলারাও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ওয়াকফ বোর্ডে দুই মহিলা সদস্যের প্রতিনিধিত্বের কথা বলা হয়েছে নয়া সংশোধনীতে। এছাড়া, ক্যাগ নিযুক্ত অডিটার বা নিরীক্ষককে দিয়ে যে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি নিরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে নতুন বিলে।
আরও পড়ুন: “যা ভাবছেন, পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ’’! মোদিকে চিঠি বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রীর
ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তিতে স্বচ্ছতা আনতে চলতি বিলে ৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আসা হয়েছে (Waqf Amendment Bill)। এতদিন ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে ঘোষণার অধিকার ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। তাই ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা সময় বহু গরিব মুসলমানের সম্পত্তি এবং অন্য ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এদিন যে সংশোধনীটি পেশ হয়েছে লোকসভায়, তাতে ওয়াকফ বোর্ডের একছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে তা তুলে দেওয়া হবে জেলাশাসক কিংবা (Kiren Rijiju) একই পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের হাতে (Waqf Amendment Bill)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।