Bihar: ৩০ দিনের মধ্যে খালি করতে হবে গোটা গ্রাম! বিহারে ওয়াকফ বোর্ডের চিঠি ঘিরে বিতর্ক...
এই সেই বিতর্কিত নোটিশ, যেখানে ওই গোটা গ্রামকে দাবি করা হচ্ছে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের একটা আস্ত গ্রামই নাকি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি (Waqf Board)। গোবিন্দপুর নামের ওই গ্রামের ৯৫ শতাংশ বাসিন্দাই হলেন হিন্দু। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের সাতজন বাসিন্দার কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board)। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে ৩০ দিনের মধ্যে গোটা গ্রামকে খালি করতে হবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই গ্রামটি পাটনা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ওই গ্রামের সাতজন বাসিন্দা চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে তাঁরা জোর জবরদস্তিভাবে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি দখল করে আছেন এবং অবশ্যই তাঁদের এটা খালি করা দরকার। এর প্রত্যুত্তরে অবশ্য গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, যে জায়গায় (Bihar) তাঁরা বসবাস করছেন তা আদতে তাঁদের পূর্বপুরুষদের।
কয়েক পুরুষ ধরে তাঁরা ওই জমিতে বসবাস করছেন বলেও জানিয়েছেন ওই গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, চিঠি পাঠানো হয়েছে ব্রিজেশ বল্লভ প্রসাদ, রাজকিশোরী মেহতা, রামলাল সাউ, মালতি দেবী, সঞ্জয় প্রসাদ, সুদীপ কুমার এবং সুরেন্দ্র বিশ্বকর্মার কাছে। চিঠি পাওয়ার পরেই ওই ৭ জন গ্রামবাসী পাটনা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন বলে খবর। হাইকোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে ওই ৭ জন পিটিশনারের পূর্বপুরুষরা ১৯১০ সাল থেকেই ওই জমির মালিক।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্র সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে (Waqf Board) এনেছে। নিজের ভাষণে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন, ওয়াকফ সম্পত্তিকে ব্যক্তি মালিকানা হিসেবে ব্যবহার করার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। কীভাবে ওয়াকফ সম্পত্তিতে দুর্নীতি হয়, তা নিজের দীর্ঘ ভাষণে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রসঙ্গত নিজের বক্তব্যে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, তামিলনাড়ু ত্রিচিরাপল্লি জেলায় একটি গোটা গ্রামকে এবং গুজরাটের সুরাট পুরসভাকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কীভাবে তা সম্ভব হতে পারে, সে প্রশ্নও তেলেন কিরেণ রিজিজু। তার মধ্যেই বিহারের (Bihar) এমন খবর সামনে এল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।