img

Follow us on

Wednesday, Dec 11, 2024

Waqf Properties: এএসআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ২৫০টি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফের দখলে!

ASI: এএসআই-এর সংরক্ষিত ২৫০টি স্থানের দখলের অভিযোগ ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে…

img

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সংগৃহীত চিত্র।

  2024-12-10 16:30:15

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI)-এর একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, তাদের ২৫০টি সংরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ওয়াকফ সম্পত্তির হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে। এই রিপোর্টকে যৌথ সংসদীয় কমিটির সামনে পেশ করতে চাইছে দেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। কিন্তু প্রশ্ন হল, সরকারি সম্পত্তি কীভাবে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) সম্পত্তি হল? বিজেপির অবশ্য দাবি, দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের নামে প্রচুর সম্পত্তি দখলের বড়সড় চক্রান্ত চলছে। এটা পূর্বতন কংগ্রেসের শাসনেই বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। তাই সময়ে এসেছে আইন পরিবর্তনের। উল্লেখ্য, সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ এখন পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিলের পাশ হওয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

সাচার কিমিটি সুপারিশ করেছিল (Waqf Properties)

জানা গিয়েছে, এএসআই (ASI)-এর পক্ষ থেকে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেগুলি ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্টে স্থান পেয়েছে। যদিও এই রিপোর্ট মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সরকার তৈরি করেছিল। ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামজিক এবং শিক্ষাগত অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রাচীন স্মৃতি স্তম্ভগুলিকে নথিভুক্ত করা হয় ওয়াকফ বোর্ডে (Waqf Properties)। রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন, এটা ইসলামি ল্যান্ড জিহাদের একটা বড় মাধ্যম।

দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান ওয়াকফের দখলে

তালিকায় দেখা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Properties) দখলে থাকা ১৭২টি জায়গার মধ্যে দিল্লির বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য স্থানো রয়েছে। তালিকায় উল্লেখযোগ্য নামগুলির মধ্য়ে রয়েছে— ফিরোজশাহ কোটলার জামা মসজিদ, আরকে পুরমের ছোটি গুমতি মাকবারা, হাউজ খাস মসজিদ এবং ইদগাহ। এই রকম আরও অনেক স্মৃতিসৌধ বা স্তম্ভগুলি দেশজুড়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের যৌথ সংসদীয় কমিটির সমীক্ষায় ওয়াকফ বোর্ডের মোট ১২০টি জায়গার নাম পাওয়া গিয়েছে যেগুলি সরাসরি এএসআই-এর অধীনে এবং সংরক্ষণে থাকার কথা। এখন ১৯৫৮ সালের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি স্তম্ভ আইন (ASI) এবং ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট বোর্ডকে আইন অনুযায়ী দুই পক্ষের অধিকার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধিতা একান্ত মিটিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তাই দ্রুত সংসদে ওয়াকফ বিলকে সংশোধন করা একান্ত প্রয়োজন মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

ASI

news in bengali

Waqf Properties


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর