Tribal Family: কেরলে গুহা থেকে উদ্ধার করা হল আদিবাসী পরিবারকে
গুহা থেকে উদ্ধার ৪ শিশু (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে (Wayanad) বিরল দৃশ্য! ৫ দিন না খেয়ে থাকা ৪ শিশুকে গুহা থেকে উদ্ধার করল বন দফতর। সঙ্গে উদ্ধার করা হয় শিশুদের বাবা-মাকেও। এমন ছবি সামনে আসতেই বন দফতরের ওই আধিকারিকদের কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা নেট দুনিয়া। বাচ্চাগুলির প্রত্যেকেরই বয়স ১-৪ বছরের মধ্যে। আধিকারিকরা পাহাড়ে ৮ ঘণ্টার পথ ট্রেকিং করে উদ্ধার করে আনেন ওই পরিবারকে। শিশুদের বুকে কাপড় দিয়ে বেঁধে পাহাড় থেকে নেমে আসেন তাঁরা। উদ্ধার করা পরিবারটিতে রয়েছেন স্বামী কৃষ্ণান, তাঁর স্ত্রী সান্তা এবং দম্পতির ৪ সন্তান। জানা গিয়েছে বর্তমানে আট্টমালায় বন দফতরের একটি ভবনে (Wayanad) রয়েছে ওই পরিবার।
কালপেট্টা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার আসিফ এই উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ জানিয়েছেন, কাজটা যথেষ্ঠ চ্যালেঞ্জিং ছিল, কারণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তাঁদের পাহাড়ে উঠতে হত, এর পাশাপাশি গুহায় (Tribal Family) আটকে থাকা ওই পরিবারকে তাঁদের সঙ্গে আসার জন্য রাজিও করাতে হত। আসিফের সঙ্গে এই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন বন দফতরের তিন আধিকারি, জয়চন্দ্রন, অনিল কুমার এবং অনুপ থমাস।
ফরেস্ট অফিসার আসিফ আরও জানিয়েছেন, ওই পরিবার পানিয়া জনগোষ্ঠীর। মূলত ওয়েনাড়ের (Wayanad) পার্বত্য এলাকাতেই থাকেন এঁরা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখেন না। বৃহস্পতিবারই আত্তামালা জঙ্গলের কাছে বন দফতরের কর্মী জয়চন্দ্রন এক মহিলাকে ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে জঙ্গলে ঘুরতে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিল এক শিশু সন্তান। প্রথমদিকে ওই মহিলা বনদফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছুক ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। পরবর্তীকালে আধিকারিকরা ওই মহিলা ও শিশুর কাছে বিস্কুট ও জল নিয়ে যায়। তখনই ওই মহিলা জানান, তাঁর স্বামী এবং অন্য তিনজন ক্ষুধার্ত শিশু (Tribal Family) বর্তমানে গুহায় রয়েছেন।
এরপরেই অভিযানে নামে বন দফতর, সঙ্গে নেওয়া হয় কম্বল, কিছু বিস্কুট ও একটি দড়ি। পাহাড়ের ওপর দড়ি ব্যবহার করেই গুহায় পৌঁছায় বন দফতরের ওই উদ্ধারকর্মীরা। অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল ভাবেই তাঁদেরকে গুহায় পৌঁছাতে হয়। এরপর সম্পূর্ণভাবে জলে ভর্তি ওই গুহার মধ্যে তিন শিশুসহ কৃষ্ণানকে খুঁজে পাওয়া যায়। তখন দেখা যায় যে কৃষ্ণানের কাছেই রয়েছে তিন শিশু এবং তারা একটি চাদরের নিচে কোনওরকমে বসে আছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।