ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্তরা জনপ্রতিনিধি হতে পারবেন? কী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের?
সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এমন সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এ নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা সম্ভব নয় এবং এই ধরনের মামলাগুলিকে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশের হাইকোর্টগুলোকে সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি ছিল ফৌজদারি মামলায় যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেই সমস্ত রাজনীতিবিদদের নির্বাচনের লড়ার অধিকার যেন বাতিল হয়, এই নিয়ে মামলার। এ নিয়ে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “শীর্ষ আদালতের তরফে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা সম্ভব নয়। বিষয়টি হাইকোর্ট দেখছে।”
২০১৬ সালে জনৈক আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেন। তাঁর আর্জি ছিল, ফৌজদারি মামলায় যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেই সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে আজীবন বিতাড়িত করা হোক। এক্ষেত্রে আইনজীবীর যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সময়ে সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ বা বিধায়করা ৬ বছর নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন না। এই নির্বাসন যাতে আজীবন করা হয় সেই দাবি জানিয়েছিলেন অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন হাইকোর্টগুলিকে বলা হয় সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে কত কেস চলছে এবং সেই মামলার বর্তমান অবস্থা কী রয়েছে, এ বিষয়ে ওয়েবসাইটে একটা আলাদা ট্যাব তৈরি করবে হাইকোর্ট। আবার, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে ওঠা কোনও অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল বেঞ্চ গঠন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টগুলিকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।