হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে কখনওই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না...
একনাথ শিন্ডে। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় দিন গুজরান করতেন অটো চালিয়ে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাতারা থেকে আসা সেই মানুষটিই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। রাজনীতিতে হাতেখড়ি ছাত্রাবস্থায় (Student Politics)। পরে যোগ দেন শ্রমিক ইউনিয়নে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shinde)। আপাতত মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটপরির্বতনের চাবিকাঠি তাঁর হাতেই।
নরম হিন্দুত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের কারণে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিন্ডে। অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসামের একটি হোটেলে। প্রশ্ন হল, কে এই একনাথ শিন্ডে?
আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের 'বিদ্রোহের' নেপথ্য কারণ কী?
ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। পরে শ্রমিক ইউনিয়ন করতে গিয়েই শিন্ডে নজরে পড়ে যান রাজনৈতিক নেতাদের। ১৯৯৭ সালে শিবসেনার টিকিটে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে লড়াই করে বিপুল ভোটে জয়ী হন শিন্ডে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০০১ সালে কর্পোরেশনের সেনা নেতা হন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় থানের। এই সময়ই নিজেকে থানের একছত্র অধিপতি করে ফেলতে সক্ষম হন তিনি। ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার পা রাখেন বিধানসভায়।এর পরের তিন বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল জনাদেশ নিয়ে বিধানসভায় ফেরেন তিনি। ২০০৪ সালের পর থেকেই শিবসেনার একটা বিরাট অংশ ভরসা করতে শুরু করেন শিন্ডের ওপর। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছাড়েন বালাসাহেব ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। এর পরেই দলে দাপট আরও বেড়ে যায় শিন্ডের। তাঁর এই তুঙ্গ জনপ্রিয়তা চোখ টানে কংগ্রেসেরও। তাঁকে দলে টানার যাবতীয় চেষ্টা করেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। তার পরেও শিন্ডে ছাড়েননি শিবসেনা-সঙ্গ। গত বিধানসভা নির্বাচনেও মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছিলেন শিন্ডে। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি হন পূর্ত মন্ত্রী। তার পর থেকেই বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : দল বিরোধী আইন এড়াতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা জোগাড় করে ফেলেছেন শিন্ডে?
বছর আটান্নর শিন্ডে এখনও বালাসাহেবের লাইনই অনুসরণ করেন। এই বালাসাহেবের কাছাকাছি থাকবেন বলেই তিনি চলে এসেছিলেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি ঠানেতে। বর্তমানে তাঁর হাতেই মহারাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রেোহ ঘোষণা করা শিন্ডে বলেন, বালাসাহেবই আমার আদর্শ। বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিত। তিনি বলেন, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে কখনওই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না আমি।
এ কীসের ইঙ্গিত দিলেন শিন্ডে?