একমাসে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে ৩৫ শতাংশ।
হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid-19) সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে চলেছে, এমনটাই জানানো হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) তরফে। বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ নিয়ে একটি সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু (WHO)’। দেশের দৈনিক আক্রান্ত বাড়তে বাড়তে ফের পৌঁছে গিয়েছে ১৫ হাজারের উপরে। যা নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে। গতকালই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি, আর আজ সেটি ১৫ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে।
হু-এর তরফ জানানো হয়েছে, শীত আসছে। আর আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবহাওয়ায় বিশাল পরিবর্তন ঘটবে। আর সেই সঙ্গে ফের বাড়বে করোনা ভাইরাসের দাপট। কারণ, আবহাওয়া যত ঠান্ডা হবে, তত মানুষ বেশি করে বাড়ির ভিতরে সময় কাটাবে। আর তাতেই সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এর ফলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, এমনটাই আশঙ্কা করেছে হু।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫০০০-এর বেশি, মৃত্যু ১২ জনের
হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস রিসোর্সেস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১৫,০০০ মানুষ কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছেন। মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেছেন, “আমরা সপ্তাহে ১৫,০০০ মৃত্যু নিয়ে বাঁচতে পারি না। ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলির অসম বন্টন নিয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারব না। যখন আমাদের কাছে সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং জীবন বাঁচানোর সমস্ত সরঞ্জাম আছে, তখন এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আজ সবাই সম্পূর্ণরূপে কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। ফলে কেউই অসহায় নয়। টিকা না নেওয়া থাকলে টিকা, বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা বলেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত রকমের কোভিড বিধি মেনে চলতে বলেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট (Omicron Variant)। গত মাসে সারা বিশ্ব থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে বিএ.৫ (BA.5) সাব-ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। টেস্টিং এবং সিকোয়েন্সিং প্রক্রিয়া সারা বিশ্বেই বেশি পরিমাণে কমে যাওয়ার ফলেই ভাইরাসটি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই বছরের শুরুতে যে পরিমাণে সিকোয়েন্স প্রক্রিয়া করা হত, বর্তমানে তা ৯০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই এই ভাইরাস এবং মহামারি নিয়ে ক্লান্ত। তবে ভাইরাসটি আমাদের নিয়ে ক্লান্ত নয়।” তাই করোনার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে হু।