যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোনও স্বামী বা স্ত্রীর আর্থিক বিষয়ে সঙ্গীর বোঝা হওয়া উচিত নয়, পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের
বিশেষ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবিধ কারণেই বৈবাহিক জীবনে অশান্তি নেমে আসে। অনেক সময় তা গড়িয়ে যায় বিচ্ছেদ পর্যন্ত। এরপরই চলে আসে ভরণ-পোষণের দায়িত্ব। মহিসারা খরপোশের দাবি জানায়। এবার সেই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাইকোর্ট। আয় করতে পারেন। তাঁর সেই যোগ্যতা আছে অথচ কোনও চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমন স্ত্রীরা বিচ্ছেদের পর স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করতে পারেন না, বলে জানাল আদালত।
একটি মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট বলে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোনও স্বামী বা স্ত্রীর আর্থিক বিষয়ে সঙ্গীর বোঝা হওয়া উচিত নয়। কিছুদিন আগে, দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক যুবক। তিনি জানান, পরিবার আদালতে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত স্বামীকে খোরপোশ দিতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান যুবক। তাঁর যুক্তি, তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিতা। তিনি আগে চাকরি করতেন। কিন্তু এখন কোনও কাজ করেন না। ইচ্ছে করলে তিনি নিজেই আয় করতে পারেন। তা ছাড়া যে পরিমাণ অর্থ খোরপোশ হিসাবে তাঁকে দিতে বলা হচ্ছে, সেটা তাঁর পক্ষে যথেষ্ট বেশি।
আরও পড়ুন: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়
মামলাকারীর আইনজীবী জানান, মাসিক ৩০ হাজার টাকা করে তাঁর মক্কেলকে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত এবং একটি হাসপাতালের রিসেপশনে কাজ করতেন। বেতন পেতেন ২৫ হাজার টাকার আশপাশে। অন্য দিকে, তাঁর মক্কেলের মাসিক বেতন ৫৬,৪৯২ টাকা। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। বোনেরা রয়েছেন। তাঁদের সবার দায়িত্ব নিতে হয়। তা ছাড়া, একটি ঋণ রয়েছে। মাসে মাসে তার সুদ গুনতে হয়। অন্য দিকে, মহিলার পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করেন। কিছু দিন যে হাসপাতালে কাজ করতেন, সেখান থেকে কোনও পারিশ্রমিক তিনি নেননি। এর পর হাইকোর্ট বলে, ‘‘স্বামী বা স্ত্রী উপার্জনে সক্ষম। কিন্তু তিনি চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন সঙ্গীর কাছে খোরপোশ চাইছেন, এটা সমীচীন নয়।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।