জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি...
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের (Indi Alliance) নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই জোটের অন্দরেই বেঁধেছে বড় গোল।
দিন দুই আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসেছিল ইন্ডি জোটের। কমিটির ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল সিপিএমের জন্য। যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, জোটে থাকলেও, তৃণমূল থাকায় সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না তারা। ইডির তলব পাওয়ায় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর জন্য। তাতেও বেজায় চটেছিল সিপিএম। করেছিল কড়া সমালোচনাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, “অভিষেক জেলে গেলেও পাকাপাকিভাবে আসন ফাঁকা থাকবে কি?”
ইন্ডি জোটে রয়েছে কংগ্রেস (Indi Alliance)। তবে অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে বেসুরো বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ করেছে। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরেদের ধরা হোক, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা হোক।” দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ঝালদা পুরসভার রাশ ‘কেড়ে’ নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার জেরে ওই পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের শরিক তৃণমূলের এহেন ‘আগ্রাসনে’র জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গ কংগ্রেস। যদিও হাইকমান্ডের নির্দেশ তারা মানছেন সাপের ছুঁচো গেলার মতো।
আরও পড়ুুন: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
প্রায় একই অবস্থা বঙ্গ সিপিএমেরও। তৃণমূল বিরোধিতাই যাদের রাজনীতির অভিমুখ, ঘাসফুলের সঙ্গে একাসনে বসতে তাদের যে আপত্তি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের যেমন অহিনকুল সম্পর্ক, কেরল সিপিএমের ক্ষেত্রে আবার শত্রু হল কংগ্রেস (Indi Alliance)। তাই সে রাজ্যের সিপিএম চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করুক দল। দুই রাজ্যের এহেন বাধ্যবাধকতায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। তাই পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত, জোটে থাকলেও, সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না সিপিএম। জোটের অন্দরে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ায় ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) যে প্রথম জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বোধহয় খুব একটা ভুল বলেননি!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।