img

Follow us on

Thursday, Nov 21, 2024

Ram Setu Secrets: রাম সেতুর রহস্য ফাঁস! সমুদ্রের নীচের মানচিত্র প্রকাশ্যে আনলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

ISRO Scientists: অবশেষে রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন! জানা গেল আশ্চর্য তথ্য

img

অবশেষে রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন, সংগৃহীত চিত্র

  2024-07-11 18:50:58

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্য। অ্যাডামস ব্রিজকেই ভারতীয়রা রাম সেতু হিসেবে চিহ্নিত করেন। এটি চুনাপাথরের তৈরি একটি সেতু যা শ্রীলঙ্কার মান্নার এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম বা পামবান দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। এবার সেই রাম সেতুরই রহস্য (Ram Setu Secrets) ফাঁস করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। নাসার (NASA) আইসিইস্যাট-২ (ICESat-2) স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইসরো (ISRO Scientists) রাম সেতুর একটি মানচিত্র তৈরি করেছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওই স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে রাম সেতুর নিমজ্জিত অংশের ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (ISRO Scientists) 

এ প্রসঙ্গে ইসরোর যোধপুর এবং হায়দরাবাদ ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের গবেষকরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের নীচে ডুবে থাকা সেতুটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি। রাম সেতু (Ram Setu Secrets) আসলে, ভারতের ধনুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের নীচে স্থলভাগের ‘ধারাবাহিকতা’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে ইসরোর এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, “ধনুশকোডি এবং তালাইমান্নার দ্বীপের একটি নিমজ্জিত স্থলভাগের ধারাবাহিকতা হল রাম সেতু, আমাদের গবেষণার ফলাফলগুলি এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। রাম সেতুর দুই পাশে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা অত্যন্ত ঢেউ খেলানো। অতি-অগভীর জলের মধ্যে আকস্মিক গভীর খাদ রয়েছে।”

আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়াতেও মোদি ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার

রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, রাম সেতুর (Ram Setu Secrets) কাঠামো বরাবর ১১টি সংকীর্ণ জলের চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলি থেকেই মান্নার উপসাগর এবং পক প্রণালীর মধ্যে জল প্রবাহিত হয়। এই চ্যানেলগুলি থাকার জন্যই সমুদ্রের ঢেউয়ের থেকে রক্ষা পেয়েছে রাম সেতুর কাঠামো। এর আগে, স্যাটেলাইট থেকে রাম সেতুর সমুদ্রের উপরে উন্মুক্ত অংশগুলির মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। এই এলাকার সমুদ্র অত্যন্ত অগভীর। কোথাও এক মিটার, কোথাও দশ মিটার গভীরতা। ফলে এই এলাকায় জাহাজে করে মানচিত্র তৈরি করা কঠিন। তাই নাসার স্যাটেলাইট থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠে লেজার রশ্মি বাউন্স করিয়ে এই নয়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রের জলে প্রায় ৪০ মিটার গভীর পর্যন্ত সমুদ্রতলের হদিশ দিতে পারে নাসার উপগ্রহের এই লেজার।

রামসেতুর ইতিহাস

রামায়নেও এই রামসেতুর (Ram Setu Secrets) উল্লেখ রয়েছে। রামায়ণের কাহিনি অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার জন্য বানরসেনার সাহায্যে সমুদ্রের উপর এই সেতু তৈরি করেছিলেন রাম। এছাড়াও বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে এই আন্ডারওয়াটার অংশটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত একটি স্থল সেতু ছিল। খ্রীস্ট পূর্বাব্দ ৯ম শতাব্দীতে পারস্য নাবিকরা এটিকে ‘সেতু বান্ধাই’ নামে উল্লেখ করেন। যার অর্থ সমুদ্রের উপর একটি সেতু। তবে রামেশ্বরমের মন্দিরগুলির নথি থেকে জানা যায় সেতুটি ১৪৮০ সাল পর্যন্ত সমুদ্রের উপর ছিল, পরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

India

national news

bangla news

Bengali news

news in bengali

ISRO Scientists

Ram Setu Secrets

Ram Setu Map

American satellite

Indian scientists

Scientific Reports


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর