২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে এই দিনটির সূচনা হয়েছিল।
বিশ্ব বাঘ দিবস
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ 'বিশ্ব বাঘ দিবস' (International Tiger Day)। বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় এই দিনটিকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে বাঘ দেশের জাতীয় পশু হওয়া সত্ত্বেও এই প্রাণীটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। বাঘ সংরক্ষণের জন্য সচেতন করতেই পালন করা হয় বাঘ দিবস। এই দিনটির সূচনা হয়েছিল ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ব বাঘ সম্মেলনে। এরপর থেকে বাঘ সংরক্ষণের তাৎপর্য সম্বন্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ২৯ জুলাই দিনটিকে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এই দিবস পালনের প্রধান উদ্দেশ্যই হল বাঘের প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ২৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে, দেশে সর্বাধিক
তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১০ বছরে বাঘের সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাই বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ফলে এখন থেকেই বিশেষ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বাঘও ডাইনোসরের মতই বিলুপ্ত হতে থাকবে। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (National Tiger Conservation Authority) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ফ্রেবুয়ারীতে বাঘের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪১১। এরপরেই ভারত, নেপাল, ভুটান সহ ১৩টি দেশ বাঘ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় ও ২০২২ -এর বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করে। তবে ভারত ছাড়া কোনও দেশই বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারতে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৬৭।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভারতে আসছে ৮টি আফ্রিকান চিতা
বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ বাঘই আছে ভারতবর্ষে। তাই বাঘ সংরক্ষণের জন্যে ভারতবাসীকে আরও সচেতন হতে হবে। নয়তো এই প্রজাতিও কয়েক বছরের মধ্যেই বিলুপ্তির পথে যেতে থাকবে। আর বিলুপ্তির কারণে বাস্ততন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই ভারসাম্য রক্ষা করতে ভারত সরকার থেকে বিশেষ সতর্ক বার্তার প্রচার চলছে।