মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচয় লুকিয়ে কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে বা চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তাকে 'অপরাধ' বলে গণ্য করা হবে। প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita Bill) আইনে সেই সুপারিশই করা হয়েছে। যে প্রস্তাবিত আইন ঔপনিবেশিক আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে কার্যকর করা হবে বলে শুক্রবার সংসদে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কী বলা হয়েছে নয়া বিলে
১৮৬০-এর আইপিসি-র পরিবর্তে জায়গা করে নিতে পারে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা' (BNS) বিল। শাহ বলেন, 'মহিলাদের উপর অপরাধ সংক্রান্ত আইনে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং তাঁরা যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা এই বিলে তুলে ধরা হয়েছে। এই প্রথম বিয়ে-চাকরি-প্রোমোশনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলে তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। ' ওই প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, পরিচয় লুকিয়ে কোনও মহিলাকে বিয়ে করলে সেটাও অপরাধের আওতায় নিয়ে আসা হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: "সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা"! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির
এমনিতে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ নতুন নয়। পুলিশে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালতেও গড়ায় একাধিক মামলা। কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধিতে সেই বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ধারা নেই। প্রস্তাবিত আইনে সেই বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ওই বিলে বলা হয়েছে, 'প্রতারণামূলক উপায় বা প্রতিশ্রুতি পূরণের কোনওরকম উদ্দেশ্য ছাড়াই কোনও মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া, তাঁর সঙ্গে সহবাস করা এবং যেরকম যৌনসম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি ধর্ষণের আওতায় আসে না, সেরকম ক্ষেত্রে (অপরাধীর) ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং জরিমানাও দিতে হবে।'প্রতারণামূলক উপায়’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সেটাও ওই প্রস্তাবিত আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, 'প্রতারণামূলক উপায়'-র আওতায় পদোন্নতি বা চাকরির ভুয়ো প্রতিশ্রুতি, প্ররোচনা বা 'পরিচয় গোপন করে বিয়ের' বিষয়গুলি রাখা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours