জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিরাট বিপর্যয়…
ভূমিকম্পে বিপর্যয়। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নববর্ষে প্রথম দিনেই ভূমিকম্প (Japan Earthquake) এবং সুনামির কারণে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে জাপানে। ২৪ ঘণ্টায় ভূমিকম্পনের জেরে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে সূর্যোদয়ের দেশ। ভূমিকম্পে ও তার জেরে আগুন লেগে মৃত্যু হয়েছে অনুমানিক ৪৮ জনের। দেশের সেনাবাহিনী অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৬। সামাজিক মাধ্যমে ফুটে উঠছে ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ছবি ও ভিডিও। যদিও মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
Daylight reveals devastation in Wajima City, Japan, where a fire caused by the earthquake destroyed more than 50 buildings pic.twitter.com/EbLYjoBGQr
— BNO News (@BNONews) January 1, 2024
ভূমিকম্পের (Japan Earthquake) কারণে প্রচুর বাড়ি-ঘর, দোকান, রাস্তা, জাতীয় সড়কে বড় বড় ফাটলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সমুদ্র উপকূলে সুনামির কারণে জলের স্তর অনেক উপরে উঠে গিয়েছে। বিপর্যয়ের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বুলেট ট্রেনের পরিষেবা। দেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, “এই ভূমিকম্পে জাপানে ভীষণ রকমের ক্ষতি হয়েছে। দেশের অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এই কঠিন সময়ের মধ্যে আমাদের লড়াই করতে হবে।”
জাপানের আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গত সোমাবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি মাত্রার কম্পনে (Japan Earthquake) মোট ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে। সব থেকে বেশি কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬ এবং দ্বিতীয় কম কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। সেইসঙ্গে মৃদু কম্পনের মাত্রাগুলি ছিল ৩ –এর নীচে। অ্যামেরিকার ভূতত্ত্ব বিভাগের তরফের বলা হয়েছে, জাপানের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল হনসু দ্বীপের ইশিকাওয়া। ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে সমুদ্রের জলের উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।
#WATCH | Tokyo: Widespread devastation in Kanazawa and Ishikawa prefecture in the aftermath of powerful earthquakes that struck Japan yesterday.
— ANI (@ANI) January 2, 2024
(Source: Reuters) pic.twitter.com/zPWexRFlk7
জাপানে প্রবল ভূমিকম্পে (Japan Earthquake) এখনও পর্যন্ত ৩৩ হাজার মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগের সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এক হাজার মানুষকে নিরপাদ স্থানে রাখা হয়েছে। যেহেতু রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে গিয়েছে, তাই উদ্ধার কাজে অসুবিধা হচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশের উত্তর প্রান্তের নোটো উপদ্বীপে এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। শহরগুলির মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে সব থেকে বেশি ওয়াজিমা শহরে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।