তিন সামরিক অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিল মায়ানমার সরকার...
মায়ানমারের সেনা টহল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের (Myanmar) জুন্টা সরকার তাদের তিন সামরিক অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিল। জানা গিয়েছে, চিন সীমান্তে বিদ্রোহীদের জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ শান প্রদেশের লাউকাই শহর দখল করে এবং গোটা ঘটনায় জড়িত ছিলেন ওই তিন সামরিক আধিকারিক। ওই শহরের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দেওয়ার অপরাধে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার স্তরের ওই তিন সেনা অফিসারকে।
এইভাবে আত্মসমর্পণের ফলে জুন্টা সরকারের সামরিক বাহিনীর বড় পরাজয় হয় এবং প্রশ্নের মুখে পড়ে জুন্টা সরকারের নীতি। প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় জুন্টা সরকারকে। ইতিমধ্যে মায়ানমারের সামরিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, লাউকাই শহরের কমান্ডার সমেত তিনজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি অন্য তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মায়ানমার (Myanmar) ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) নিয়ে গঠিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের দখলে গিয়েছে লাউকাই শহর।
গত বছরের অক্টোবরে শেষের দিক থেকেই উত্তর মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে আক্রমণ শানাতে থাকে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। পরে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। মায়ানমারের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে খবর। রাজধানী নেপি-দ, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরও কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই এখন জুন্টা সমর্থক সেনা টহল দিচ্ছে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বহু সেনা আত্মসমর্পণও করেছেন। প্রাণ বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশে পালানোর ঘটনাও ঘটেছে সেনা অফিসারদের। বর্তমানে জুন্টা সরকারের প্রধান হলেন মিন অন হ্লাইং। তিনি ছিলেন মায়ানমারের (Myanmar) রিজিওনাল কমান্ডার। সে সময় তিনি মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মিকে ওই লাউকাই শহর থেকে তাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।