গ্রামীণ ব্যাংকগুলির নড়বড়ে শাসন ব্যবস্থার জেরেই অর্থনীতির এই হাল...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং (Banking) ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে (Rural Bank) আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে চিনের হেনান প্রদেশে। মধ্য চিনের একটি এলাকা হেনান। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সমস্যা যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন হেনান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এদিন ঘটনার পরে পরেই আমানতকারীদের কমবেশি ৫০ হাজার ইউয়ান শোধ করা হয়েছে। যাঁদের ডিপোজিট ফ্রিজ হয়েছে, তাঁদেরও জমানত দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস হেনান প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্যাংকিংয়ের এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে না চিন। ভুক্তভোগী আমানতকারীদের মতে, হাজার হাজার আমানতকারীর ১০০০ কোটি ইউয়ান ফ্রিজ হয়ে গিয়েছে। এসবই হয়েছে এলাকায় জমি বিক্রি কমে যাওয়ার দরুণ। যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে চিনের ছোট ও স্থানীয় ঋণদানকারী সংস্থাগুলির ওপর।
চিনে এই সমস্যা অবশ্য একদিনে হয়নি। সূত্রপাত হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিলে। হেনানের চার গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে জমা আমানত ফিরে পাননি আমানতকারীরা। স্থানীয় ব্যাংকগুলিতে গিয়ে তখন থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার আমানতকারীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসেও। ঘটনাটি নজর কেড়েছে বেজিংয়েরও। আমানতকারীরা যাতে আমানত ফেরত না পান, তাই কোভিড অ্যাপে কারসাজি করেন কয়েকজন আধিকারিক। তার জেরে তাঁরাও পড়েন বেজিংয়ের রোষে। অর্থনীতিবিদ গারে নগ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকগুলির নড়বড়ে শাসন ব্যবস্থার জেরেই অর্থনীতির এই হাল। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য বিক্ষোভের নেপথ্যে ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হাত দেখছেন।
আরও পড়ুন : চিন থেকে আর ঋণ নিতে পারবে না পাকিস্তান! নিষেধাজ্ঞা আইএমএফের
চিনে ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামীণ ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে তারা তৃতীয় স্থান দখল করে। বৃদ্ধির হার শ্লথ হওয়ায় চাপে পড়েছে এরাই। এই গ্রামীণ ব্যাংক গুলিতে টাকা রাখেন মূলত কৃষিজীবী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঘটনার জেরে তাঁরাই পড়েছেন সব চেয়ে বেশি বিপাকে। ওই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্যাংকগুলি রিয়েল এস্টেট ডেভলপারদের থেকে আলাদা। চিন অর্থনীতির এই দুর্বল দিকগুলি দেখতে পায় না।