বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
বিস্ফোরণের পর।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান (Afghanistan)। বুধবার রাজধানী কাবুলের (mosque in Kabul) একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। আহত অন্তত ৪০। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের (IS) হাত রয়েছে বলে অনুমান।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় প্রার্থনা চলাকালীন খইর খানা এলাকার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সূত্রের খবর, হামলায় সিদ্দিকি মসজিদের ইমাম আমির মহম্মদ কাবুলিরও মৃত্যু হয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। তালিবানের (Taliban) এক গোয়েন্দা আধিকারিক জানিয়েছেন, সিদ্দিকি মসজিদে হওয়া হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনার তদন্ত করছে তালিবানি গোয়েন্দারা।
🔴 #Afghanistan #Kabul: 27 people received at our hospital so far following an explosion in the PD17 area. 5 children among them, including a 7-year-old.
— EMERGENCY NGO (@emergency_ngo) August 17, 2022
কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে, আশেপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তোলা ছবি ও ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'লজ্জাজনক ঘটনা', কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যার নিন্দায় সরব অনুপম খের
এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত সপ্তাহে কাবুলে ইসলামিক স্টেটের (IS) হামলায় মৃত্যু হয় তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু শেখ রহিমুল্লা হাক্কানির। ফলে আফগানিস্তান দখল করলেও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট। গত অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও।