Agitation in Bangladesh: চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে কেন উত্তাল বাংলাদেশ? জানুন
উত্তাল বাংলাদেশ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। সে দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র দাবি, বৃহস্পতিবার গোটা দেশে এমন সংঘর্ষে (Agitation in Bangladesh) মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯ জনের। অর্থাৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২। তাঁদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়েছে গুলিতে, কারও বা ধারালো অস্ত্রের কোপে। ‘প্রথম আলো’র আরও দাবি শুধু রাজধানী ঢাকাতেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া এবং প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর নিচে বলে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিকভাবে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার, এমনই খবর সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে।
এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগের ঘটনাও ইতিমধ্যে ঘটছে। একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাজারেরও ওপরে পৌঁছেছে সেদেশে (Agitation in Bangladesh) জখম সংখ্যা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে তারা নীতিগতভাবে সহমত এবং তারা আলোচনাতে বসতেও প্রস্তুত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলাটির রবিবারই শুনানির দিন ধার্য করেছে বাংলাদেশের চেম্বার আদালত।
পড়ুয়াদের এমন বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে গত কয়েকদিন ধরেই। মাঝখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ঢাকায় মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ জুড়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থাতে অশান্তির প্রভাব পড়েছে। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষের ছবি, ঠিক এই আবহে সমাজমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার রুখতে ইন্টারনেটে রাশ টেনে ধরেছে বাংলাদেশ (Agitation in Bangladesh) সরকার। তবে ইন্টারনেট পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।