Ajay Banga: ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল বাঙ্গাকে।
অজয় বাঙ্গা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের দায়িত্ব সামলাবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা! বৃহস্পতিবারে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেতৃত্বের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত করলেন মাস্টারকার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বর্তমান প্রধান ডেভিড ম্যালপাস ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেই জায়গায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসী অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
President Joe Biden has announced that the United States is nominating former CEO of Mastercard Ajay Banga to be President of the World Bank: The White House
— ANI (@ANI) February 23, 2023
(File photo) pic.twitter.com/C7eEnn3w4R
মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর বাকি থাকতে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অনেক চিন্তার পরে আমি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কী কারণে মেয়াদ শেষের এক বছর আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি বিশ্ব ব্যাঙ্কের পদত্যাগী শীর্ষ কর্তা।
ফলে এর পর এই পদের জন্য ইন্দো-আমেরিকান ব্যবসায়ী অজয় বাঙ্গার উপরই ভরসা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাধারণত বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি পদে আমেরিকান কাউকেই বসানো হয়। কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হলেন। ফলে অজয় বাঙ্গা এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, ম্যালপাস ক্ষমতা থেকে সরে আসার পর থেকেই এই মনোনয়নের কাজ চলছিল। ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন চলবে।
৬৩ বছর বয়সী অজয় বাঙ্গা বর্তমানে ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে এক বেসরকারি শেয়ার লেনদেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আগে তিনি মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ছিলেন। ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল বাঙ্গাকে।
বাঙ্গার জন্ম ভারতের পুণেতে। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতির স্নাতক। পরে আমদাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন। ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয় বাঙ্গার। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাঙ্কেও। ১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। এর পর ধীরে ধীরে ওই সংস্থার সিইও-সহ একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন ও পরে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হন। আর এবারে এক ইতিহাস গড়ার পথে তিনি।