উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায়ও অনুভূত হয় কম্পন...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কেঁপে উঠল নেপাল। শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল কাঠমাণ্ডু। তার রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই রবিবার ভোরে আবারও একবার কেঁপে উঠল নেপাল। শুক্রবার কম্পনের মাত্রা বেশি থাকলেও, রবিবার ভোরের কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৬। নেপালের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এদিন পর পর বেশ কয়েকবার যে কম্পন অনুভূত হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৩.৩।
শুক্রবার নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৪। মাঝ রাতের ওই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। এখনও চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নেপালের সেনাবাহিনী, নেপালি সেন্টিনাল ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। আশপাশের এলাকা থেকে ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রীও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Earthquake) বলেই খবর।
ভূমিকম্পের পর পর হয় আফটার শক। সেদিনও ১৫৯ বার কেঁপেছিল নেপালের মাটি। শুক্রবারের ওই কম্পনের আঁচ এসে লেগেছিল ভারতের একটি অংশেও। কম্পন অনুভূত হয়েছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাংশে। রবিবার যে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে ফের একপ্রস্ত আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন নেপালের পাশাপাশি ভূমিকম্প হয়েছে আফগানিস্তানেও। গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হয় ফয়জাবাদে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫। তবে কম্পন অনুভূত হলেও, ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি।
আরও পড়ুুন: “মহাদেবের নামেও লুট করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস”, ছত্তিশগড়ে তোপ মোদির
এদিন গোটা ভারতে কোনও কম্পন অনুভূত না হলেও, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অনুভূত হয় কম্পন। জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, অযোধ্যায় কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৬। উৎসস্থল ছিল অযোধ্যা থেকে ২১৫ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিমি গভীরে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেও একবার বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেবার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বলি হয়েছিলেন ৯ হাজার জন। শুক্রবার ভোরের কম্পন উসকে দেয় আট বছর আগের ওই স্মৃতি। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা পার করেছে (Earthquake) ১৫০র গণ্ডী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।