ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টেও চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে (Arunachal Pradesh) চিনা (China) আগ্রাসনের নিন্দা মার্কিন সেনেটে। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেই (India) অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এমন দাবি ভারতের তরফে করা হয়েছে বারবার। এবার অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এমন প্রস্তাব পাশ হল মার্কিন (America) সেনেটেও। ভারত-চিন সীমান্তে ম্যাকমোহন লাইন নিয়ে চিন বারংবার আপত্তি জানালেও, এই প্রসঙ্গে আমেরিকার মত, আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত এই সীমান্তরেখাকে মেনে নেওয়া উচিত চিনের।
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছে, ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে চিন। লাদাখ সীমান্তে চিনের সামরিক আগ্রাসন নিয়েও নিন্দা জানানো হয় এই প্রস্তাবে। কিছু দিন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টেও চিনের বিরুদ্ধে সীমান্তে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এর অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমেরিকার চিন সংক্রান্ত প্রস্তাবে শোনা গেল ভারতেই সুর। অরুণাচলে (Arunachal Pradesh) চিনা আগ্রাসনের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষে প্রস্তাবটি পেশ করেন ওরেগনের ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর জেফ মার্কলে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন ও টেনেসির রিপাবলিকান সেনেটর বিল হ্যাগার্টি।
আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?
প্রস্তাবে বলা হয়, আমেরিকা সব সময় স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমেরিকা প্রতিটি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে মান্যতা দেয়। কিন্তু চিন ঠিক এর উল্টো পথে হাঁটছে। সেনেটে চিন বিষয়ক কমিটির প্রধান জেফ মার্কেলের মতে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি জানান, এ নিয়ে আমেরিকার কোনও দ্বিধা নেই। মার্কেলে জানান, চিন যেভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আগ্রাসন চালাচ্ছে, তা কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেন মার্কিন সেনেটর। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও বলেন তিনি।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেজিংয়ের একাধিপত্য নিয়েও সরব হয়েছে ওয়াশিংটন। কৌশলগত সম্পর্কে থাকা যে কোনও দেশের পাশে আমেরিকা দাঁড়াবে বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ওই প্রস্তাবে। প্রসঙ্গত, এমন একটা সময় সেনেটে ওই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যখন পূর্ব লাদাখ সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘাত তিন বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এহেন আবহে গত বছর অরুণাচল প্রদেশে আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করে চিন। সেই চেষ্টা রুখে দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার তরফে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।