ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।
রাষ্ট্রসংঘ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কানিবাসী তামিলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সুর চড়াল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তামিল ইস্যুতে (Tamil Issue) শ্রীলঙ্কার (Srilanka) অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশ। কেন অ্যামেন্ডমেন্ট ১৩ (13th Amendment) কার্যকর করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। তামিল ইস্যুতে একটি সমাধান সূত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানাবাধিকার কাউন্সিলের ৫১ তম সেশনে ভারত এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদেশে তামিল ইস্যুতে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহের দিকে দিল্লির ক্রমাগত নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারত। আর্থিক সংকট সম্পর্কে ভারত বলে, "শ্রীলঙ্কার সর্বোত্তম স্বার্থে তার নাগরিকদের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার।"
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। দেশে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পেতে দেশের মানুষকে আরও বেশি সক্ষম করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সদস্যরা মনে করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক মদতের জন্য বিশ্বের সমস্ত নামী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে আসা উচিত।
আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন
গত বছরের শেষ থেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চড়াও হয়েছিল জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যান তিনি। জুলাইয়ের ১৪ তারিখে বিদেশে বসেই পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ফিরেছেন তিনি। তবে পুরনো পদ আর ফিরে পাননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসংঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দেশবাসীর যেরকম ক্ষোভ রয়েছে, তাতে তাঁর রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরা কঠিন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।