img

Follow us on

Friday, Dec 27, 2024

Bangladesh: দুষ্কৃতীদের আখড়া বাংলাদেশ! ১৭৪ জন জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে ইউনূসের চার মাসের রাজত্বে

Militant: সেনা পাহারায় জঙ্গি নেতাকে মুক্তি! ইউনূসের জমানায় কতজন জঙ্গি মুক্তি পেয়েছে জানেন?

img

ইউনূসের জমানায় বাংলাদেশ জুড়ে জঙ্গিদের দাপাদাপি (সংগৃহীত ছবি)

  2024-12-07 16:12:15

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা সরকারের (Bangladesh) জমানায় ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি নেওয়া হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রক্তক্ষয়ী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের (Militant) গ্রেফতার করে জেলে ভরেছিল। আর ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর মৌলবাদীদের সঙ্গে জঙ্গিরাও হাত মিলিয়ে সংখ্যালঘু নিধনে নেমেছে। মহিলারা বাজারে বের হতে পারবে না বলে তালিবানি ফতোয়া জারি করছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসা থেকেই প্রকাশ্যে মিছিল, মিটিং করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল তাহরির বলে অভিযোগ। সরকারের মধ্যেও এই জঙ্গিদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তারপর থেকেই খুন, রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই এবং অপহরণের ঘটনা রোজই ঘটছে।

 চারমাসে ১৭৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্ত! (Bangladesh)

ইউনূস সরকার ক্ষমতায় (Bangladesh) আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। ক্রমাগত আক্রমণ নেমে আসছে হিন্দুদের ওপর। আতঙ্ক এবং অশান্তির মধ্যে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই আবহে ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। সুতরাং ওপার বাংলার ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক স্তরে কতটা বাড়ল সেটা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। এই বিষয়টি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো লাগেনি। ব্রিটিশ সরকার যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে, “জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশে”। এরপরই ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুককে ডেকে বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ভিত্তিহীন। যদিও বাংলাদেশের কারা বিভাগের ডিজি জানান, ৮ অগাস্ট ইউনূস সরকার গঠন হওয়ার পরে চার মাসে ১১ জন শীর্ষস্থানীয় দুষ্কৃতী এবং ১৭৪ জন জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ে বিভিন্ন জেল ভেঙে বার করে নেওয়া বন্দিদের মধ্যে অন্তত ৭০০ জন এখনও ধরা পড়েনি। এদের বেশির ভাগই বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য।

আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

পিঠ বাঁচাতে উগ্র ভারত-বিরোধিতা!

বাংলাদেশের (Bangladesh) এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা বলেন, “এই সরকারের আমলে গণতন্ত্রের বদলে মবোক্রেসি চেপে বসেছে। ক্ষোভের প্রকাশ ঘটলে খুনের মামলা দেওয়া থেকে পিটিয়ে মারা হতে পারে বলে মানুষ বুঝতে পেরেছেন। সকলে এখন আতঙ্কিত। একজন নাগরিক হিসেবে আমিও নিজের নামটুকু প্রকাশ করার ঝুঁকি নিতে পারছি না।”  কলকাতায় আওয়ামি লিগের এক নেতা বলছেন, “সংখ্যালঘু নির্যাতন থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানা- কোনও কাজেই ইউনূস সরকারের উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছেন না বাংলাদেশের আমজনতা। এই পরিস্থিতিতে পিঠ বাঁচাতে উগ্র ভারত-বিরোধিতার পুরনো তাস ফের খেলেছে বর্তমান শাসকেরা।”

জঙ্গিদের হাতে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র

এই সরকারের (Bangladesh) জমানায় যে সাংবাদিকরাও নিরাপদ নন তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। সাংবাদিক মারধর থেকে শুরু করে সরকারি পরিচয়পত্র এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ হারানো সবই ঘটেছে। গত তিন মাসে ৫০০-র বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনাও নৈমিত্তিক। পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনের সময়ে তাদের থানা ও অস্ত্রাগার লুট এবং মোতায়েন পুলিশ ও কারারক্ষীদের হাত থেকে ছিনতাই করা হয়েছিল ৫৮২৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং সাড়ে ৬ লক্ষের বেশি গোলাবারুদ। দেড় হাজারের বেশি মারণাস্ত্র ও প্রায় ২ লক্ষ গোলাগুলি এখনও উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনীর ৩২টি অত্যাধুনিক ভারী অস্ত্রও রয়েছে। গোয়েন্দাদের খবর, এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র দুষ্কৃতীদের হাতে চলে গিয়েছে। জঙ্গি শক্তি তাদের কাছ থেকে এই অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করছে।

সেনা পাহারায় জঙ্গি নেতাকে মুক্তি!

ব্লগার হত্যার পাণ্ডা আনসারউল্লা বাংলা টিম (এবিটি)-র শীর্ষ জঙ্গি জসিমুদ্দিন রাহমানিকে ইউনূস সরকার (Bangladesh) মুক্তি দিয়েছে। সেনা পাহারায় হুডখোলা গাড়িতে হাতমাইকে বক্তৃতা দিতে দিতে রাহমানির জেল থেকে বেরিয়ে আসার ছবি বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করার সাহস দেখিয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইউনূস সরকারের রোষে পড়ে সরকারি পরিচয়পত্র এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ হারানো এক সাংবাদিক বলছেন, “অধিকাংশ মিডিয়া এত বড় খবরটি প্রকাশই করেনি সরকারপক্ষ অসন্তুষ্ট হতে পারে ভেবে। ছবি দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।” এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে এসে মিছিল-সমাবেশ করছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর চাঁইয়েরা। সরকারের মধ্যেও এই জঙ্গিদের একাধিক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক, সরব নেটিজেনরা

ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপির (Bangladesh) একাংশ। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি একটি লাল শাড়িকে ভারতীয় শাড়ি দাবি করে ছুড়ে ফেলে বলেন, “স্ত্রীর কাছ থেকে চেয়ে এনেছি। পুরনো এই ভারতীয় শাড়িটি বয়কট করছি!” এক দল অনুগামী সঙ্গে সঙ্গে শাড়িটি কুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। রিজভির এই কাণ্ডের ভিডিও নীচে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, “ভারত থেকে চাল-ডাল, তেল, পেঁয়াজ, ডিম, মশলা না-এলে নেতাদের অসুবিধা হয় না। হয় আমাদের। পুরনো শাড়ি পুড়িয়ে বয়কটের নাটক জমছে না।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Bangladesh

bangla news

Bengali news

militant

Md Yunus


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর