img

Follow us on

Wednesday, Dec 25, 2024

Bangladesh Crisis 12: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল ঢাকায়, সরব ভারত, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে

Targeting Minority: কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন-অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু। আজ দ্বাদশ তথা শেষ পর্ব।

img

বাংলাদেশে হিন্দু বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)

  2024-12-24 09:28:12

হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বাদশ তথা শেষ পর্ব।

 

অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১২

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলাম, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করে। এর পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকারকে, তারা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করে। অন্যদিকে জন অধিকার মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকাতে মিছিলও করে।

বিক্ষোভ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Bangladesh Crisis 12)

আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলতে থাকে। ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি জায়গায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) বেশ কিছু সংগঠন যেমন ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, নিজেদের মতো করে আন্দোলন শুরু করে। এই সময় বাংলাদেশের ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা, যিনি ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কনভেনার, তিনি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের শেষ কৃত্যে অংশগ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ কলকাতায়, নিন্দা ভারতের, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে 

ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই ইস্যুতে নিজেদের বিবৃতি জানায় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর বেড়ে চলা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভারতকে। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি জানায় ভারত। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিভিন্ন সংগঠন। এই সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের বিবৃতির কড়া সমালোচনা করে এবং তারা জানায় যে সরাসরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে ভারত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরেই এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানাতে থাকে বিশ্বের সব দেশই। যে সমস্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুরা ব্রিটেন থাকতেন, তাঁরাও রাস্তায় নামেন। অন্যদিকে ফিনল্যান্ডেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। বাংলাদেশ ইস্যুতে এই সময়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা ব্যক্তিরাও বিবৃতি জারি করেন। একইসঙ্গে ব্রিটেনের সাংসদরাও এই ইস্যুতে সংসদে সরব হন এবং বাংলাদেশে বেড়ে চলা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্রিটেনের সরকারকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা।

সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রতিবাদ 

বাংলাদেশ ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে এবং সেখানে দাবি জানানো হয় যে বিএনপি এবং জামাত ইসলামের ক্যাডাররা সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায়। একাধিক সমাজ মাধ্যমের পাতায় দাবি জানানো হয় যে পিনাকী ভট্টাচার্য, জাহেদুল রহমান আমিনুল মুমিনরা বিদেশি শক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বর্বরোচিত হামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা (Targeting Minority)

বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চলায় এবং পাথর ছোড়ে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামে ২৯ নভেম্বর। শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পরেই পাথর ছোড়া হয়।

বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি চট্টগ্রামের হিন্দু বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।

বাংলাদেশের পাথরঘাটার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে হামলা চালানো হয়। 

হাবিবগঞ্জের ইসলামিক মৌলবাদীরা হামলা চালায় জয় দাস নামের এক হিন্দুর বাড়িতে। মৌলবাদীরা সন্দেহ করেছিল যে জয় দাস ছিলেন একজন ইসকনের সদস্য।

উগ্র মৌলবাদীরা ইসকনের মন্দির ভাঙচুর করে চট্টগ্রামের পাতিয়াতে।

উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায় মৌলভীবাজারে অবস্থিত মদনমোহন মন্দিরে।

উগ্র মৌলবাদীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ফিরিঙ্গি বাজারে অবস্থিত লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির। হাজারি গালিতে অবস্থিত কালী মন্দির এবং সেবক কলোনিতে অবস্থিত একাধিক মন্দির ভাঙচুর করে তারা।

সমাজ মাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় ইসলামিক মৌলবাদীরা ঠাকুরগাঁয়ে একজন হিন্দুকে মারধর করছে।

বাংলাদেশের শিবচরে মৌলবাদীরা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেয় ইসকনের মন্দির বন্ধ করার জন্য।

গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। 

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব এরিয়াতে ইসকনের মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়।

পুলিশি হয়রানি

একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানির শিকারও হন অসংখ্য হিন্দু সন্ন্যাসী। ইসকন সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা ৭৬ জন হিন্দু বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় বাবলা ধর, সজল শীল, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমন দাস প্রভৃতি হিন্দুকে। সে দেশের সাংবাদিক মুন্নি সাহাকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

bangla news

Dhaka

ISKCON

madhyom news

news in bengali

targeting minority

Bangladesh Crisis 12


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর