img

Follow us on

Sunday, Dec 29, 2024

Bangladesh Crisis13: অগাস্টেই শুরু হয় অনাচার, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা!

Targeting Minority: কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, তা নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন-"আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব"। আজ প্রথম পর্ব।

img

অশান্ত বাংলাদেশ (ফাইল ছবি)

  2024-12-29 07:33:02

অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

 

 আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব -১

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট বিএনপি ও জামাতের ষড়যন্ত্রে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis 1)। দখল হয় গণভবন। এরপর থেকেই বাংলাদেশে নেমে আসে অরাজকতা। ইউনূস সরকারের আমলে কার্যত জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয় বাংলাদেশ। বেড়ে যায় গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা। হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক পরেই দুজন ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কাঠালতোড়ি ইউনিয়নের পাথরঘাটার উপজেলার বরগুনার বাসিন্দা। তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আরেকজন হলেন শামিম আহমেদ। যাঁর অপর নাম শামিম মোল্লা। তাঁকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলিগের নেতা ছিলেন শামিম। বিএনপি-জামাতের কাছে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই এমন আক্রমণ নেমে আসে।

কী বলছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট?

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিও সরব হয় গণপিটুনির ঘটনায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সামনে আসে। বাংলাদেশের (Targeting Minority) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ৩৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অপর এক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে গণপিটুনির, যার মধ্যে ৪৪টিতেই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অপর এক সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৪টি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১টি সংঘটিত হয়েছে অগাস্ট মাসে। বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসেই গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সংখ্যা ২০। অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬।

জেলায়-জেলায় পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis 1)

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদসংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকাতে হাসিনা সরকারের পতনের ৩৮ দিনের মাথায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে।

দিনাজপুর জেলায় তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে অগাস্ট মাসের ১১ তারিখ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখেও ওই জেলায় তিনজন গণপিটুনিতে মারা যান।

বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় ৩১ অগাস্ট একজনকে ও ১৮ সেপ্টেম্বর অন্য একজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে।

রাজশাহী জেলাতে প্রাক্তন ছাত্রলিগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর।

চট্টগ্রামে একজন স্থানীয় বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১ সেপ্টেম্বর।

বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাতে একজন বয়স্ক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।

বাংলাদেশের খুলনাতে ৪০ বছর বয়স্ক একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৬ সেপ্টেম্বর।

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলাতে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১২ সেপ্টেম্বর।

বাংলাদেশের গাজীপুর ও বরিশালে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে হত্যা করার অগাস্টে, অপরজনকে সেপ্টেম্বরে।

বাংলাদেশের নাটোরে ৩৬ বছর বয়সি একজন পুরুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২ অগাস্ট।

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও খাগড়াছাড়িতেও গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর অন্যদিকে অপরজনকে খাগড়াছাড়িতে হত্যা করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।

গণপিটুনির কারণ কী কী? (Bangladesh Crisis 1)

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ধরনের গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হল-

রাজনৈতিক কারণ

প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরেই আওয়ামি লিগের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক সন্ত্রাস নেমে আসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরকে টার্গেট করতে থাকে বাংলাদেশের মৌলবাদী তথা বিএনপি-জামাতের নেতৃত্ব।

আইন-শৃঙ্খলার অবনতি

জামাত-বিএনপি নেতৃত্বে বাংলাদেশের মসনদ দখল হওয়া মাত্রই সে দেশে জঙ্গলের রাজত্ব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি নজরে আসতে থাকে। সে দেশে প্রশাসন বলে আর কিছুই বাকি ছিল না, যখন হাসিনা সরকারকে পদচ্যুত করা হয়। এই অবস্থায় সুযোগ নিতে শুরু করে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন ও বিএনপি জামাতের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।

গুজব (Bangladesh Crisis 1)

গুজব একটা বড়সড় কারণ গণপিটুনিতে হত্যার। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয় এবং এতেই বাড়তে থাকে বাংলাদেশে হিংসা এবং গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

bangla news

madhyom news

news in bengali

targeting minority

Bangladesh Crisis 1


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর