img

Follow us on

Monday, Jan 06, 2025

Bangladesh Crisis 16: প্রতিহিংসার রাজনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের? হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের ১৭৮টি খুনের মামলা!

Targeting Minority: কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, তা নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন- ‘আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব’। আজ চতুর্থ পর্ব।

img

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

  2025-01-02 07:54:10

অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ চতুর্থ পর্ব।

 

আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-৪

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis 16) জুড়ে শুরু হয় অত্যাচার। হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মঠ, মন্দির, সংখ্যালঘু থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্বের ওপর হামলা চলতেই থাকে। একই সঙ্গে হামলা বাড়তে দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত চত্বরে। জামাত-বিএনপি সমেত মৌলবাদীরা টার্গেট করতে থাকে সে দেশের আইনজীবী, প্রাক্তন মন্ত্রী, আইন প্রণেতাদের (Targeting Minority)। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে বিরোধীদের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য ইউনূস সরকার দায়ের করে ১৭৮টি খুনের মামলা, এমনটাই অভিযোগ। 

টার্গেট প্রাক্তন বিচারপতি ও আইনজীবীরা

বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 16) পুলিশ অফিসাররাও মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হওয়া নামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, বাংলাদেশের প্রাক্তন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন মানিক, আইনজীবী শেখ ফারিদ। আইনজীবী শেখ ফারিদের অপরাধ ছিল আওয়ামি লিগের নেতাদের হয়ে সওয়াল করতেন তিনি আদালতে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এই আওয়ামি লিগের নেতাদের কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হতে থাকে। তাঁদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে।

প্রতিহিংসার রাজনীতি (Bangladesh Crisis 16)

জানা গিয়েছে, এই সমস্ত মামলায় ৯২ হাজার ৪৮৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং এঁরা প্রত্যেকেই জামাত-বিএনপির বিরোধী। এর মধ্যে অনেকেই আওয়ামি লিগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আওয়ামি লিগের প্রাক্তন নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা, এমনকি শেখ হাসিনার পরিবারকেও বাদ দেওয়া হয়নি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে ইউনূস সরকার, এমনটাই অভিযোগ।

১৭৮টি খুনের মামলা দায়ের হয় হাসিনার বিরুদ্ধে

গত ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 16) অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম 'আজকের পত্রিকা' প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে যত মামলা দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থক রয়েছেন ২৬ হাজার ২৬৪ জন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪। আশ্চর্যজনকভাবে তার মধ্যে ১৭৮টি খুনের কেসে অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে শেখ হাসিনার নাম। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের অন্যতম এক জনপ্রিয় পত্রিকা ডেইলি স্টার তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে ২২০টি। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ফের আবার হাসিনার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা বেড়ে গিয়েছে। যেখানে শেখ হাসিনা নিজের বোন শেখ রেহনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২২টি, হাসিনার পুত্র ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১৯টি। হাসিনার কন্যা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে চারটি এবং হাসিনার ভাইপো মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একটি।

টার্গেট করা হয় হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের

হাসিনা সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন যাঁরা, তাঁদেরকেও ব্যাপকভাবে টার্গেট করা হতে থাকে। তাঁদের ওপর যেমন হামলা চলতে থাকে, একইভাবে তাঁদেরকে মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসানো হয়। বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আসাদুজ্জামান খান, তাঁর বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা মামলা দায়ের করেছেন ১৯৯টি। আসাদুজ্জামান খানের পরেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৬৯টি। অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৭২টি। বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের আমলে আইনমন্ত্রী থাকা আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫৯টি। 

টার্গেট করা হয় ছাত্র নেতাদের

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আরাফাত, যিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৫৪টি। অন্যদিকে, প্রাক্তন ডাক বিভাগের মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৪৪টি। ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন শেখ ফাজাল নূর তাপস, তাঁর বিরুদ্ধে ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা উত্তর শহরের মেয়র মহম্মদ আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুড়িটি মামলা দায়ের করা হয়। আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের নাম ছাত্রলিগ। সংগঠনের বাংলাদেশের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং তার সম্পাদক শেখ ওয়ালিয়াসিফ ইনান, তাদের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৩১টি ও ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

targeting minority

Bangladesh Crisis 16


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর