img

Follow us on

Wednesday, Dec 18, 2024

Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

Yunus Regime: কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন-অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু। আজ তৃতীয় পর্ব।

img

বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুরা। চলছে প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র

  2024-12-14 09:11:33

হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ তৃতীয় পর্ব।

 

অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৩

 

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Minorities Targeted) চলছে নির্মমভাবে। বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সংখ্যালঘুরা। পুলিশ থেকে রাজনৈতিক নেতা, এমনকী বাদ যাননি প্রশাসনের মাথায় থাকা সংখ্যালঘু আধিকারিকরাও। প্রশাসনে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে সরকারের হঠাৎ পরিবর্তন। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপরই পরিকল্পনা মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব সত‍্যজিত কর্মকারসহ ১০ জন সিনিয়র সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। এর পাশাপাশি, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুদ্ধাংশুশেখর ভদ্রকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, কারণ একটা কিছু দেখালেই হল। লক্ষ্য, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে দমিয়ে রাখা। কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিটি বা কমিশনে না রেখে দমিয়ে রাখার কৌশল (Minorities Targeted)। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারবার।

মামলায় জর্জরিত সচিবরা

দমন-পীড়ন চালানোর রাস্তা এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি হাসিনা সরকারের আমলের (Bangladesh Crisis) ৫৩ জন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। একই সময়ে, প্রশাসনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অবহেলা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশাসনের অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করলেও, সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। মাত্র দুইজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তা-মুকেশচন্দ্র বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর মণ্ডল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। তদুপরি, পাঁচজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে আছেন অতিন কুণ্ডু (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ), অভিজিৎ রায় (বাস্তবায়ন ও পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ), কঙ্কন চাকমা (বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন), সুবর্ণ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ) এবং কালাচাঁদ সিনহা (মংলা পোর্ট অথরিটি)।

বৈষম্যের শিকার বিচারকরাও

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted) কূটনৈতিক কর্মকর্তাদেরও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিবের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া। আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রভাবশালী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ৮১ জন নিম্ন আদালতের বিচারককে বদলি করা হয়েছে। ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেওয়া হলেও, এসব পদে সংখ্যালঘু সদস্যদের উপস্থিতি ছিল নেহাতই কম। দুজন সংখ্যালঘু সদস্য প্রাকাশআনন্দ বিশ্বাস (মানিকগঞ্জ) ও সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় (মাদারীপুর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পান।

কোনও কমিশনেই সংখ্যালঘু নেই

বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু এই কমিশনগুলোর মধ্যে কোনও সংখ্যালঘু সদস্যের স্থান হয়নি। এর ফলে, দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা আরও তীব্র হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব ও প্রভাব সীমিত হয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

রেহেই পাননি সাংবাদিকরাও 

অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted)। এদের মধ্যে শ্যামল দত্ত, নবনিতা চৌধুরী, সুবাস সিনহা, মনস ঘোষ, প্রণব সাহা, মুননি সাহা, স্বদেশ সিনহা, শ্যামল সরকার, অজয় দাস এবং আশীষ সৈকত উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যেই তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক স্বজনের সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে তাঁর বাড়ির সামনে হামলা করে হত্যাও করা হয়। ঘটনাটি ঘটে শম্ভুগঞ্জের টানপাড়া এলাকায়। ( ...ক্রমশ)

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

bangladesh crisis

targeting minority

administrative officials

judicial officers

journalists

Yunus Regime


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর