Anti Terrorism Crusade: আশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ, ভারতের সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ের কী হবে...
ভিটে ছাড়া শেখ হাসিনা। জঙ্গি দমন নিয়ে উদ্বেগে ভারত। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh crisis)। চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। প্রত্যাশিতভাবেই পড়শি বন্ধু দেশের এই অশান্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত (Anti Terrorism Crusade)। ভারতের উদ্বেগের কারণ একাধিক।
এর মধ্যে রয়েছে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা, উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখা, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি, সে দেশের নয়া সরকারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
বরাবরই ভারত বিএনপির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এর কারণ হল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের প্রতি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গী। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সন্ত্রসবাদী সংগঠনের হাত। ৭/১১-র মুম্বই ট্রেনে বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের জয়পুর বোমা হামলা, ওই বছরই আমেদাবাদে বিস্ফোরণ, ২০১০ সালে জামে মসজিদে হামলা, বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ, ২০১১ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সংগঠনের হাত (Bangladesh crisis)। দেশজুড়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না লস্কর-ই-তৈবা। ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে তারাই। ২০০২ সালে মুম্বইয়ে ১১টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এসবেরই নেপথ্যে ছিল ওই দুই জঙ্গি সংগঠনের হাত। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, হাসিনা-হীন জমানায় এই জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে ডেরা বেঁধেছিল। সেখান থেকেই চক্রীরা ভারতে চালিয়ে গিয়েছিল একের পর এক অপারেশন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। জঙ্গিরা ভারতে অপরাধ করে দিব্যি ঢুকে যেত হাসিনা-হীন সরকারের ছাতার তলায়। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে তারা চলে যেত পাকিস্তানে।
আরও পড়ুন: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জঙ্গি সংগঠনগুলির লাগাম ধরতে বিএনপি কিছুই করেনি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কোমর কষে নামেন হাসিনা। সেই প্রক্রিয়াই আপাতত ধাক্কা খাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা পাকিস্তানের আইএসআই এবং চিনের কাছে (Anti Terrorism Crusade) ‘পৌষ মাস’ হয়ে দাঁড়াল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Bangladesh crisis)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।