Christian Homes: চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনায়, বাংলাদেশে আগুনে পুড়ল অন্তত ১৭ খ্রিস্টানের ঘর...
এখানেই বাড়ি ছিল খ্রিস্টানদের। আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সেই বাড়ি। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা গিয়েছিলেন ক্রিসমাসের প্রার্থনায় যোগ দিতে। সেই সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি বাড়িতে (Christian Homes) আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চলের বান্দরবান এলাকার ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় মুসলমানরা। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ওই খ্রিস্টান পরিবারগুলি।
গৃহহীনদের দাবি, অগ্নিকান্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৫ লাখ বাংলাদেশি টাকারও বেশি। বড়দিনের সকালে দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেই সময় তিনি দিয়েছিলেন শান্তির বার্তা। তার ঠিক আগের দিন রাতের ঘটনায় ইউনূসের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একাংশ। জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তারা বান্দরবানের লামা সারাই অঞ্চলের একটি এলাকায়, যা এসপি গার্ডেন নামে পরিচিত, বসবাস করছিল। আগে এই জমিটি টংঝিরি পাড়া নামে পরিচিত ছিল, যা হাসিনা সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্তা বেনজির আহমেদ দখল করেছিলেন। আহমেদের পরিবার এই জমির নাম পরিবর্তন করে রাখে এসপি গার্ডেন।
৫ আগস্টের পর বেনজির আহমেদ এবং তার পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে চলে গেলে, ত্রিপুরা পরিবারগুলো বসতিতে ফিরে আসে। অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ক্রিসমাস ইভে, যখন ওই পরিবারগুলির সদস্যরা চার্চে গিয়েছিলেন প্রার্থনা করতে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি জমিটি তাদের ন্যায্য অধিকারভুক্ত। তাদের অভিযোগ, এই জমিতে তাঁদের বসতি ছিল, যা আহমেদের লোকজন দখল করেছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন গঙ্গামণি ত্রিপুরা (Bangladesh Crisis)।
আরও পড়ুন: বাজয়েপীর জন্মবার্ষিকীতে গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস-উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
তিনি জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তিনি বলেন, “কয়েকজন লোক আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল। আমরা বারবার এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি পেয়েছি, কিন্তু যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। আমাদের বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, আমরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের যা কিছু ছিল, সব হারিয়েছি।” লামা থানায় স্টিফেন ত্রিপুরা-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও, কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা চরমে উঠেছে। হিন্দুদের পাশাপাশি অত্যাচার চালানো হচ্ছে খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধদের ওপরও (Christian Homes)। তার পরেও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ (Bangladesh Crisis)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।